Header Ads

Header ADS

তোকে_অনেক_ভালোবাসি------পর্ব_২৫


আরিশা ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে ওর দৃষ্টি অন্ধকার আকাশে। আজ আকাশে চাঁদ নেই কালো অন্ধকারে ছেয়ে আছে চারিদিক। চাঁদ বিহীন অন্ধকারের মতো আরিশার মন টাও আজ ঘন কালো অন্ধকার হয়ে আছে। আর এর একমাত্র কারন আদ্র।
আদ্র কেনো এমন করলো আমার সাথে? উনি সেই ছোট থেকেই আমাকে দেখছে উনার কি করে মনে হলো আমি বাইরের একটা ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসবো?আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আদ্র,অনেক ভালোবাসি। জানো তো আজকে আমার এতো সাজ তোমার পছন্দের রঙের শাড়ি পড়া শুধু মাত্র তোমার জন্য। আজ আমি তোমাকে আপন করে নিতে চেয়েছিলাম। যতোটা আপন করলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আরো মর্য়াদা পূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু আফসোস তুমি একটি বার ভালো ভাবে তাকালে না আমার দিকে।
কে কি বললো তুমি সেটা বিশ্বাস করে আমাকে ভুল বুঝলে।
হঠাৎ কেউ পেছন থেকে আরুকে জড়িয়ে ধরলো। আরু ভয় পেয়ে গিয়েও সামলে নিলো কারন এ স্পর্শ আদ্রর।
আরু নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলে আদ্র আরো চেপে ধরলো ঘাড়ে মুখ গুজে অপরাধী স্বরে বলতে লাগলো.........
আ'ম সরি আরু। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি আর কখনো তোমাকে ভুল বুঝবোনা। অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে আমি সহ্য করতে পারি না অন্য ছেলেকে তোমার পাশে। আমি সিওর আমাদের মাঝে কেউ দূরত্ব সৃষ্টি করতে চাইছে। আমার আরু এমন কিছু করতেই পারে না।
আরু জোর করে নিজেকে ছাড়িয়ে বললো.........একদম ঢং করবে না আমাকে ভুল বুঝে কাঁদিয়ে এখন এসেছে সরি বলতে। এখন এসেছো কেনো যাও যে তোমাকে ওই ছবি দিয়েছে তার কাছে যাও।
আদ্র আরুর হাতটা শক্ত করে ধরে বললো.........আমার ভুল হয়েছে সোনা তার জন্য আমি অনুতপ্ত। এই ভুলের কারোনে অথই এর কাছে আমাকে ছোট হতে হয়েছে। ভাবতে পারছো আরু আমার ছোট বোন আজ পর্যন্ত আমার মুখের উপর উচু গলায় কোনোদিন কথা বলে নি কিন্তু আজ বলেছে আমার ভুল ভাঙিয়েছে। ওর ভাবির মন খারাপ থাক ও চায়না।
আরু অবাক চোখে তাকিয়ে বললো.........কি বলেছে অথই??
এই যে ছেলেটি তোমার কেউ না ও রাফিয়ার বন্ধু। আচ্ছা রাফিয়ার এতো সাহস হলো কি করে ও একটা ছেলেকে বাড়িতে ডাকে? আমি কালই বাবাকে বলবো ওকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে।
রাফিয়া আপু আমার কাছে আগেই বলেছিলো ওর কোনো বন্ধু আসবে। বাবাকে কিছু বলো না।
ওও তাহলে তুমি জেনে না করলে না কেনো??
রাফিয়া আপু মন খারাপ করবে তাই।
রাফিয়ার মন রাখতে চেয়ে যে তোমার নিজেরই কষ্ট হলো।
.
.
আরুর চোখে এখনো পানি জমে আছে আদ্র ওর চোখের পানি মুছে বললো.........ইসস আমার বউটা কেঁদে কেটে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। সরি বউ আর এমন হবে না তাকাও আমার দিকে। কি হলো তাকাবে না? আচ্ছা যাচ্ছি আমি।
আদ্র চলে যেতে নিলে আরু ওর হাত ধরে জড়িয়ে ধরে ওকে। আদ্রর বুকটা যে ওর সব চেয়ে শান্তির স্থান। আদ্র যে এতো অল্প সময়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আরুর কাছে এসেছে এটাই অনেক।
আদ্র আরুকে বুক থেকে তুলে আরুর মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখে বললো.........আজ আমার বউকে অনেক অনেক সুন্দর লাগছে। তো এতো সাজ কেনো হুম??
ইচ্ছে হয়েছে তাই। তুমি তো ডিনার করোনি নিচে চলো অনেক রাত হয়েছে।
আদ্র একটানে আরুকে কাছে টেনে কোমড় জড়িয়ে বললো........একদিন ডিনার না করলে কিছু হবে না। আজ না হয় ডিনারটা রুমেই করি। আমি কিন্তু জানি তুমি কেনো সেজেছো।
মানে কি জানো তুমি??
এইযে আমার বউয়ের এতোদিনে মনে হয়েছে তার স্বামীকে অধিকার দেওয়া প্রয়োজন।
আদ্র বাকা হেসে আরুর দিকে তাকিয়ে আছে। আরু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বললো........এমন কিছু নয়।
উহুম বউ নিজেকে আর দূরে সরিয়ে রেখো না। তুমি তখন কি বলেছো আমি পেছনে দাড়িয়ে সব শুনেছি।
আরু মাথা তুলে কিছু বলতে নিলে আচমকা আদ্র আরুর ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নেয়। হঠাৎ করে এমনটা করায় আরু যেনো ফ্রিজড হয়ে গেছে সারা শরীরে শীতল হাওয়া বয়ে চলেছে। আরু আদ্রর টি শার্ট খামচে ধরে আছে। নিজেকে যে ছাড়াবে সেটাও ভুলে গেছে।
প্রায় ৫ মিনিট পর আদ্র আরুর ঠোঁট ছেড়ে দিলো। দুজনেই ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে। আদ্র বাকা হেসে বললো.........ডিনারের প্রথম অংশটা খুব মিষ্টি ছিলো।
আরু অন্য দিকে ঘুরে লজ্জা মিশ্রিত কন্ঠে বললো........অসভ্য লোক একটা তুমি খুব খারাপ।
তাই আমি অসভ্য খারাপ? ঠিকআছে আজ তাহলে বুঝিয়েই দেই আমি কতোটা অসভ্য।
বলেই আরুকে কোলে তুলে নিলো আদ্র আরু হাত পা ছুড়ছে নামার জন্য।
হুশশশ কোনো নড়াচড়া নয় আজ আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই প্লিজ বাধা দিয়ো না।
আরু আর কিছু বললো না আদ্র আরুকে বেডে শুইয়ে দিয়ে আরুর মুখে ঠোঁটে গলায় বুকে অজস্র চুমুতে ভরিয়ে দিলো। আরু কোনো বাধা দিচ্ছে না আরুও চায় আদ্র ওকে নিজের করে নেক।
দুটি মনের ভালোবাসা আরো হাজার গুন বেড়ে গিয়েছে আজ ওদের ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে।
.
.
সকালে আদ্রর আগেই আরুর ঘুম ভেঙে গিয়েছে। আদ্র জেগে ওঠার আগেই আরু ওয়াশরুমে চলে গেলো। শাওয়ার নিয়ে মিষ্টি কালারের শাড়ি পড়েছে আরু। ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে দেখলো আদ্র এখনো ঘুমে আরু এগিয়ে গিয়ে আদ্রর কপালে ঠোঁট ছুইয়ে নিচে চলে এলো।
আদ্র ঘুম থেকে উঠে আরুকে দেখলো না। আদ্র বেশ বুঝতে পারছে আরু আজ লজ্জায় ওর দিকে তাকাবেই না।
আরুকে অনেকদিন পর সকালে শাড়ি পড়া দেখে আদ্রর মা হাসি মুখে বললো........আমার মেয়েকে আজ খুব মিষ্টি দেখাচ্ছে। মাঝে মধ্যে এভাবে শাড়ি পড়বি কেমন।
রাফিয়া আদ্রর মায়ের কথা শুনে আরুর দিকে তাকালো। আরুর চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখে রাফিয়া চোখ ছোট করে তাকিয়ে রইলো ওর দিকে।
সবাই নাস্তা করতে বসেছে আদ্র এখনো আসেনি আরুর মা বললো.........আরিশা আদ্র কে ডেকে আন আসছে না কেনো এখনো।
আরু মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো........ডাকতে হবে না এসে পড়বে।
আসলে আরু চাইছে না আদ্রর সামনে পড়তে ওর চোখে চোখ রাখলে আরো লজ্জা পেতে হবে।
অথই মিটমিটে হেসে বললো.........আমি যাচ্ছি ভাইয়াকে ডাকতে।
অথই উঠে দাড়াতেই আদ্র সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বললো........কাউকে যেতে হবে না আমি চলে এসেছি।
আদ্র অফিসের পোশাক পড়েই নাস্তা করতে এসেছে আরু আড় চোখে আদ্রকে দেখে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।
আরু খেতে বসছে না দেখে আদ্রর মা বললো........আরিশা দাড়িয়ে আছিস কেনো খেয়ে নে ভার্সিটি যেতে হবে তো।
আদ্র বললো......মা আরুর আজ ভার্সিটি যেতে হবে না আমি দুপুর পর ওকে নিয়ে বেড় হবো। আরু বসে পড়ো খেয়ে নাও।
আরু আদ্রর পাশের চেয়ারে বসলো মনে মনে ভাবছে.......কোথায় যাবে আমাকে নিয়ে? আমাকে তো কিছু বলেনি।
আদ্র সবার চোখের আড়ালে আরুর কানের কাছে মুখ এগিয়ে বললো........আমার দিকে তাকাচ্ছো না কেনো? এতো লজ্জা পেলে চলবে নাকি। সকালে মর্নিং কিস টাও পাই নি। আজ ছেড়ে দিলাম কাল থেকে যদি আমাকে ঘুম থেকে না তুলে রুম থেকে বেড় হও তোমার ১২টা বাজাবো। তবে যাই বলো কাল রাতের ডিনার টা কিন্তু বেস্ট ছিলো।
আরু চোখ বড় বড় করে আদ্রর দিকে তাকালো আদ্র চোখ টিপ মেরে মুচকি হেসে খেতে লাগলো।
ওদের দিকে আর কেউ না তাকালেও রাফিয়া তাকিয়ে আছে। আদ্র আর আরুকে আজ অন্য রকম লাগছে।
রাফিয়া মনে মনে বলতে লাগলো........কি হলো ব্যাপারটা! ভাবলাম একটা হলো তার উল্টো। আদ্র রেগে থাকা তো দূরের কথা আরো যেনো লেপ্টে আছে আরিশার সাথে। তাহলে কি আমার কালকের প্ল্যানটা কোনো কাজে আসে নি?
নাহ আর মানতে পারছি না আবার কিছু একটা ভাবতে হবে। আজ পর্যন্ত এই রাফিয়ার কোনো চাওয়া অপূর্ণ থাকে নি এটাও থাকবে না।
.
.
দুপুর পরে আদ্র বাড়িতে এসে আরুকে রেডি হতে বললো। আরু ওয়াশরুমে গেলো ফ্রেস হতে। আদ্র বেডে বসে ফোন টিপছিলো আরুর ফোনে ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। আদ্র ফোন হাতে নিয়ে ম্যাসেজ অন করলো ওখানে লেখা ছিলো........
আরিশা আজ তোমার জন্য এক নতুন চমক অপেক্ষা করছে আদ্রর থেকে তোমাকে তো আমি দূরে সরাবোই। আদ্র তো তোমাকে ভুল বুঝবেই আজ আ'ম সিওর। কালকে আদ্রকে ওই ছবি আর মিথ্যে বলে কোনো লাভ হয়নি কিন্তু আজ হবে। তোমার চোখে মুখে আমি চিন্তার ছাপ দেখতে চাই তাই এ এস এম এস টা করলাম।
আদ্র ম্যাসেজ টা পড়ে নাম্বারটা নিজের ফোনে তুলে ম্যাসেজ টা ডিলিট করে দিলো। ও চায় না আরু আবারো এই অজানা ভয় নিয়ে চিন্তা করুক।
আদ্র নিজের ফোন থেকেই সে নাম্বারে কল দিলো রিং হচ্ছে কেউ রিসিভ করছে না।
কে হতে পারে এই মেয়ে? আমার মন বলছে সে সব সময় আমাকে আর আরুকে ফলো করছে। আরুকে এ বিষয়ে কিছু জানাবো না আমি নিজেই বেড় করবো কে আমাদের লাইফটা এলোমেলো করতে চাইছে।
আরুকে রেডি হতে বলে আদ্র নিচে এসে সেই নাম্বারটা কাউকে দিয়ে বললো.........
এই নাম্বারটা কোথায় আছে সে লোকেশনটা আজকের মধ্যে জানতে চাই।
ফোন রেখে আদ্র মৃদু হেসে বললো.......তুমি যেই হও না কেনো তোমাকে তো আমি খুজে বেড় করবোই। আমার বারবার মনে হচ্ছে খুব বেশি খাটতে হবে না এই মেয়েকে ধরতে। নিজেকে বড্ড চালাক ভাবো তাইনা,তাই চালাকি করতে যেয়ে নিজের জালেই ফেসে গেলে। চমক যদি দেওয়ারই হতো তাহলে ম্যাসেজ করে বলার কি দরকার। আমি যাকে আইডিয়া করছি যদি সেই হয় তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। আরু আমার জান,আমার জানকে আলাদা করাটা এতোটাও সোজা নয়।
আরুকে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না এখন।ওকে আমি কখনো কষ্ট দিবো না তোকে অনেক ভালোবাসি আরু অনেক বেশি ভালোবাসি।
.
.
আরিশাকে সারপ্রাইজ দেবে বলে ওকে না জানিয়ে মনিকার বাসায় নিয়ে এসেছে আদ্র। অনেকদিন পর বেস্ট ফ্রেন্ডকে পেয়ে আরিশা মনিকা দুজনেই খুব খুশি। সারা বিকেল সন্ধাটা মনিকা সাথে কাটিয়ে আদ্র আরুকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড় হলো।
রাত নেমে এসেছে আদ্র ড্রাইভ করছে আর আরু বাইরে তাকিয়ে আছে।
ওদিকে রাফিয়া রুমে এপাশ ওপাশে পাইচারি করছে আর ভাবছে........আরিশাকে এস এম এসটা করলাম ভয়,পাওয়ানোর জন্য কিন্তু ও তো হাসি খুশি মনেই বেড়িয়ে গেলো। হয়তো তখন এস এম এসটা দেখে নি পরে অবশ্যই দেখেছে। এখন বাকী কাজটা করতে হবে। রাফিয়ে কাউকে ফোন দিয়ে বললো......যে নাম্বারটা দিয়েছি ওই নাম্বারে কল দাও দুজনেই একসঙ্গে আছে এটাই সুযোগ। যা যা বলতে বলেছি সেগুলোই বলবে।
আদ্র সামনে তাকিয়ে বললো........আরু কিছু বলছো না যে??
ড্রাইভ করার সময় কথা বলতে নেই চুপচাপ গাড়ি চালাও।
তুমি তো আজ সারাদিনে আমার দিকে ভালো ভাবে তাকালেই না। সারপ্রাইজ দিতে মনিকার বাসায় নিয়ে গেলাম ওখানে খুব মজা করলে হাসলে তাহলে আমার সাথে কেনো কথা বলছো না??
আরু মুচকি হেসে আদ্রর দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে বললো.......তোমার দিকে তাকাতে আমার লজ্জা লাগছে।
আদ্র শব্দ করে হেসে উঠে বললো........এই পাগলি আমি তোমার বর অন্য কেউ না কিসের এতো লজ্জা শুনি? ও বুজেছি লজ্জাটা পুরোপুরি ভেঙে দিতে হবে তাইনা সোনা?
অসভ্য।
হুমম বউ এর কাছে না হয় অসভ্য হলাম তাতে ক্ষতি নেই বরং লাভ আছে।
আরুর ফোন বেজে উঠলো আরু অচেনা নাম্বার দেখে ধরছে না।
কে ফোন দিয়েছে??
নাম্বার চিনি না।
রিসিভ করো আর শোনো স্পিকারে দাও।
আরু ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলতোই ওপাশ থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো.........কি ব্যাপার আরিশা দুপুর থেকে একবারো ফোন দিলে না যে? তুমি জানো না তোমার সাথে কথা না বলে আমি থাকতে পারি না। আমি তোমার বাসার গেটে দাড়িয়ে আছি তাড়াতাড়ি এসো খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তোমাকে।
আরু একবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে আবার আদ্রর দিকে। আদ্রর মাঝে কোনো পরিবর্তন নেই ও খুশি মনেই গাড়ি চালাচ্ছে। আরু খুবই অবাক হচ্ছে হঠাৎ কে এসব বলছে ফোন দিয়ে।আদ্রকে এমন চুপ থাকতে দেখে আরো বেশি অবাক হচ্ছে।
ওপাশ থেকে ফোন কাটেনি এখনো আরু রীতিমত কাঁপছে তাড়াতাড়ি ফোন কেটে আদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো..........
আদ্র আমি এ ছেলেকে চিনি না। বিশ্বাস করো আমি বাইরের কাউকে আমার নাম্বার দেইনি। কে এসব করছে আমি জানি না আদ্র। তুমি কিছু বলছো না কেনো রাগ করেছো? আমি সত্যি.....
আদ্র আরুর হাত টেনে নিজের কাছে নিয়ে বললো........এই পাগলি এতো ঘাবড়ে যাচ্ছো কেনো? চোখে পানি কেনো হুম পানি মুছে ফেলো জলদি। একদিন না বলেছি তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না। আমি তোমাকে অবিশ্বাস করছি না। যে যা খুশি বলুক আমার আরুর উপর থেকে আমার বিশ্বাস হারাবে না।
বাড়িতে এসে আরু গাড়ি থেকে নামতেই আবারো সেই নাম্বার থেকে কল আসলো আদ্র ইশারা করলো ধরতে। আরু ফোন রিসিভ করলো ওপাশ থেকে বললো.......
আরিশা বেবি তুমি এলে না কেনো? কতক্ষণ অপেক্ষা করলাম। ভেবেছিলাম দেখা করবো কাছাকাছি আসবো দুজনে কিছুই হলো না।তোমাকে আমি অনেক আদর দিবো ওই আদ্রর থেকেও বেশি। কাল দেখা করবে কেমন।
আদ্র আরুর থেকে ফোন নিয়ে বললো........তোর ভাগ্য ভালো তুই এখনো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারছিস। নিজেকে খুব চালাক ভাবিস তাইনা? তুই এবং তোর পেছনে যে আছে সে খোজ বেড় করতে আমার বেশি সময় লাগবে না। কি ভেবেছিলি এসব শুনে আমি আরুকে ভুল বুঝবো? আগে না বুঝে ভুল করেছি বাট আর না। আর তোকে শুধু একবার সামনে পাই তোর জিভ টেনে ছিড়ে ফেলবো আমার আরুকে বাজে কথা বলার স্বাদ মিটে যাবে।
আদ্র খুব রেগে কথাগুলো বলছিলো আরু ভয় পেয়ো চুপ করে দাড়িয়ে আছে। আদ্র আরুকে একহাতে জড়িয়ে নিয়ে বললো........ভয় পেয়ো না আমি তোমাকে অবিশ্বাস করি নি। আমি আছি তো কে বা কারা এসব করছে আমি খোজ নিচ্ছি শীঘ্রই জেনে যাবো। ভেতরে চলো।
আদ্রর ফোনে কল আসতেই আদ্র রিসিভ করলো ওপাশ............
ওকে থ্যাংক ইউ সো মাচ,রাখছি।
আদ্র মৃদু হেসে বললো.......অবশেষে আমার আইডিয়াটাই ঠিক হলো।

No comments

Theme images by rami_ba. Powered by Blogger.