তোকে_অনেক_ভালোবাসি-----পর্ব_২৬
রুমে বসে আদ্রর জন্য অপেক্ষা করছি কিন্তু উনার আসার নামই নেই। মনিকাদের বাসা থেকে ফিরে আমাকে রেখে বেড় হলো কোথায় গেলো উনি?
আমাকে তখন কে ফোন দিয়ে ওসব বলেছিলো সেটাও মাথা থেকে বেড় করতে পারছি না। তবে এতো কিছু শুনেও যে আদ্র আমাকে এতটুকুও অবিশ্বাস করেনি এতেই আমি অবাক হচ্ছি। রাফিয়ার বন্ধু আমাকে ফুল দিয়েছে বলে ভুল বুঝলো আর আজ এসব শুনেও কিছু বললো না!!
ওদিকে আদ্র বাইরের কাজ সেরে ছাদে গিয়ে অন্য একটা নাম্বার থেকে সেই ম্যাসেজ করা নাম্বারে কল দিলো। কয়েকবার রিং হওয়ার পড় রিসিভ হলো।
হ্যালো কে বলছেন??
আমাকে তুমি চিনবে না। তুমি রাফিয়া তো??
হুম আমিই রাফিয়া। আপনি কে আমার নাম জানলেন কি করে??
মুহুর্তেই আদ্রর চোখ লাল হয়ে উঠলো হাতের মুঠো শক্ত করে নিজের রাগটা কনট্রোল করে বললো........সেসব না হয় পরে জানবে।
আদ্র ফোন কেটে দিলো। আদ্র যাকে নাম্বারটার লোকেশন জানতে বলেছিলো সে জানায় এ নাম্বারটার লোকেশন আদ্রদের বাড়ির মধ্যেই দেখাচ্ছে। আর সে ছেলেটিকেও ধরতে সক্ষম হয়েছে আদ্র। আদ্র ছেলেটিকে এখনো কিছু বলেনি শুধু ওর মুখ বন্ধ রাখতে বলেছে। যার কথামত একাজ করেছে তাকে যেনো কিছু না বলে।আদ্র রাফিয়াকে সন্দেহ করেছিলো আর লোকেশন জানার পর ও ধরেই নিয়েছে এর পেছনে রাফিয়া আছে। তাও পুরোপুরি ভাবে সিওর হতে ফোন দিয়ে রাফিয়ার নামটা জেনে নিলো।
আদ্র ভাবছে এই রাফিয়ার মুখোশ সবার সামনে কিভাবে খোলা যায়। কিছু একটা ভেবে আদ্র বাকা হেসে বললো........রাফিয়া তোর মুখোশ তো আমি খুলবোই তার জন্য একটু অভিনয় করতে হবে আমার।
আদ্র ছাদ থেকে সোজা নিচে নেমে এলো। রাত তখন ১০:৪৩ বাজে। এর মাঝে আরু ফোন দিয়েছিলো আদ্র বলেছে দেরি হবে ফিরতে। আদ্র যে বাড়িতেই আছে এটা আরু জানে না,আদ্র ইচ্ছে করেই বলেনি। ও চায় রাফিয়ার সব সত্যি সামনে এনে তারপর আরুকে জানাবে।
.
.
আদ্র রাফিয়ার রুমে দরজায় দাড়িয়ে নক করলো। রাফিয়া দরজা খুলে আদ্রকে দেখে অবাক হয়ে বললো.......আদ্র তুমি এতো রাতে!!
হুম কেনো আসতে পারি না বুঝি? সরে দাড়া ভেতরে যেতে দে।
আদ্র রাফিয়ার রুমে এসে বেডের একপাশে বসলো রাফিয়া ওর সামনে দাড়িয়ে বললো.......আদ্র আমি ভাবতে পারছি না তুমি এ সময় আমার রুমে আসবে। আচ্ছা আরিশার সাথে ঝগড়া হয়েছে নাকি??
আদ্র মন খারাপের ভঙ্গিতে বললো.........আর ঝগড়া। ওকে খুব বিশ্বাস করেছিলাম কিন্তু ও আমাকে ঠকালো।
রাফিয়া হুট করে আদ্রর হাত ধরে নিলো। আদ্র ইচ্ছে করছিলো রাফিয়ার গালে ঠাটিয়ে চড় মারতে। কিন্তু এখন এটা করা যাবে না ওকে যা বলার বাড়ির সকলের সামনে বলবে।
রাফিয়া আদ্রর হাতে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো......আদ্র আরিশা সত্যি ভালো মেয়ে নয় ওকে বিয়ে করে তুমি ভুল করেছো। আমি বলিকি তুমি ওকে ডিভোর্স দাও। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আদ্র আমি তোমার হয়ে থাকতে চাই।
কি বলছিস তুই আমাকে ভালোবাসিস!!
হ্যা হ্যা খুব ভালোবাসি তোমাকে আমি চেয়েছিলাম তোমাকে বলবো কিন্তু তার আগেই ওই মেয়ে তোমাকে নিজের প্রেমের জালে ফাসিয়ে বিয়ে করে নিলো। আরিশাকে আমার মটেও সহ্য হয় না তাছাড়া ওর অন্য ছেলের সাথে রিলেশন আছে।
আরুর যে অন্য ছেলের সাথে রিলেশন আছে এ কথা তো তোকে বলিনি কি করে জানলি??
ও ওই তো মনে হলো আর কি তুমিই তো বললে আরিশা তোমাকে ঠকিয়েছে। আদ্র তুমি আরিশাকে ছেড়ে আমাকে বিয়ে করো খুব ভালো থাকবো আমরা।আর শোনো বাড়ির সবাইকে বলবো আরিশা ভালো মেয়ে নয় অন্য ছেলের সাথে রিলেশন আছে। বাড়িতে কেউ না থাকলে ও সেই ছেলেকে বাড়িতে ডেকে নেয় আর ফোনে যোগাযোগ করে যেখানে সেখানে দেখা করে।
রাফিয়া এসব কথা বাড়ির সকলের সামনে বলতে পারবি??
তোমার জন্য আমি সব করতে পারি আর সকলের সামনে বলাটা কোনো ব্যাপার না যদি তুমি আমার সামনে থাকো।
তো আর কি কি করতে পারবি আমার জন্য??
তুমি যা বলবে তাই করবো তবে তার বিনিময়ে আমি তোমাকে চাই।
আদ্র মনে মনে ভাবছে.........আমি আরুকে বোকা বলি এই রাফিয়া তো দেখছি ওর থেকেও বোকা অল্পতেই ইমোশনাল হয়ে পড়ে। আমার আরুকে খারাপ বলা তাইনা তুই শুধু কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর দেখ আমি কি করি।
.
.
আদ্র রুমে এসে দেখে আরু গুটিশুটি হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে আছে। আদ্র আর আরুকে জাগালো না আরুকে বুকে নিয়ে জড়িয়ে নিজেও ঘুমিয়ে পড়লো।
আরুর সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখলো আদ্র ওকে বুকে জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। রাতে আদ্রর জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলো বুঝতে পারেনি। সকালে ঘুম ভেঙে আদ্রকে দেখে আরুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো। আরু আদ্র কপালে ঠোঁট ছুইয়ে উঠে যেতে নিলে আদ্র ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। চোখ বন্ধ করে মুচকি হেসে বললো.........
আরু আমার ঘুমের সুযোগ নিয়ে এটা করো তুমি তাইনা??
আরু লজ্জা পেয়ে বললো.........কই আমি কিছু করিনি তো।
মিথ্যে বলছো কেনো হুম। আমার কপালে তোমার ওই নরম ঠোঁট ছোয়ালে আমি তো জেগে ছিলাম তুমি কি করো দেখার জন্য ঘুমের ভান করেছিলাম।
আরু নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আদ্র আরুকে শুইয়ে দিয়ে ওর গলায় মুখ গুজে বললো.........তোমার শরীরের স্মেলটা এতো সুন্দর কেনো বলোতো? আমাকে মাতাল করে দেয় এ স্মেল। ইচ্ছে করে এভাবেই তোমাকে জড়িয়ে রাখি সব সময়।
এই ছাড়ো তো কতো বেলা হয়েছে আমাকে আজ ভার্সিটি যেতে হবে।
উহু আজও যাবে না তুমি আমিও অফিস যাবো না আজ।
কেনো আজ আবার কি আছে??
সময় হলেই দেখতে পাবে। এখন নড়াচড়া করো না তো।
ছাড়ো তো উঠবো আমি।
আদ্র আরুর মুখের দিকে তাকিয়ে বললো.........ঠিকআছে ছাড়ছি তবে......
তবে কি??
আদ্র আরুর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বললো.....তবে এটাই যাও উঠো।
আরু ছাড়া পেয়ে জোরে শ্বাস নিয়ে ফ্রেস হতে চলে গেলো।
.
.
আদ্র ওর বাবা আর আরুর বাবাকে বলেছে আজ একটু দেরি করে বেড় হতে। বাড়ির সবাই ড্রয়িংরুমে বসে আছে আদ্র আরিশা নিয়ে নিচে এলো। তারপর আদ্র জোরে জোরে রাফিয়াকে ডাকতে লাগলো।
আদ্রর মা বললো.......আদ্র রাফিয়াকে ডাকছিস কেনো??
এলেই বুঝতে পারবে।
রাফিয়া হাসি মুখে এসে আদ্রর সামনে দাড়িয়ে বললো.......কি ব্যাপার ডাকছো কেনো??
কাল রাতে আমাদের মাঝে কি কথা হয়েছিলো সবাইকে বলতে হবে তো তাই ডেকেছি। নে বল সবাইকে।
রাফিয়া একটু পিছিয়ে গিয়ে ঢোক গিলে বললো.......আদ্র তুমি বলো না।
আমি কেনো বলবো তুই আমাকে কতোটা ভালোবাসিস এটা তুই নিজেই সবাইকে বল।
উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে তাকালো রাফিয়ার দিকে,আরিশা আদ্র কাছে এসে বললো........এসব কি বলছো তুমি??
এক্ষুনি বুঝতে পারবে সব। অয়ন ভেতরে এসো।
অয়ন নামটা শুনে রাফিয়া চমকে উঠলো। সবার নজর দরজার দিকে অয়ন মাথা নিচু করে আদ্রর পাশেই দাড়ালো।
আরে এ তো সেই ছেলেটি রাফিয়া আপুর বন্ধু উনিই সেদিন ফুল দিয়েছিলো আমাকে।
আদ্রর বাবা বললো.......আদ্র কি হচ্ছে এসব?
বলছি বাবা। রাফিয়া তুই নিজে সবটা বলবি নাকি আমি বলবো??
আদ্র আমি কি বলবো আমি তো কিছু করিনি।
আমি তো একবারো বলিনি তুই কিছু করেছিস। নিজের মনের কথাটা তাহলে এভাবেই বেড়িয়ে আসে যেমনটা কাল রাতে বলেছিস।
আদ্র দেখো আমাদের কথা এমন ছিলো না কিন্তু।
আদ্র এবার রেগে বললো.......তো কেমম কথা ছিলো বল। আরুকে আমার কাছে খারাপ বানানো এটাই তো উদ্দেশ্য ছিলো তাইনা??
.
.
সবাই স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে আদ্রর কথা কারো মাথায় ঢুকছে না। আরুর বাবা বললো.......আদ্র এ কি বলছিস তুই রাফিয়া আরিশাকে খারাপ বানাবে কেনো??
কারন রাফিয়া নাকি আমাকে ভালোবাসে তাই ও যে কোনো মূল্যে আমাকে চায়। আরুকে ভয় পাওয়ানোর জন্য ম্যাসেজ পাঠায়। এমনকি আরুকে আমার কাছে খারাপ প্রমাণিত করার জন্য অন্য ছেলেকে দিয়ে আরুকে ফোন দিয়ে বাজে কথা বলায় যেনো আমি আরুকে ভুল বুঝি। রাফিয়া আরু তোর ছোট বোন তোর কি একটুও বাধলো না এসব করতে??
রাফিয়া আদ্রর বাবার কাছে গিয়ে বললো........মামা এসব মিথ্যে আমি আদ্রকে ভালোবাসি তাই আরিশা ওকে দিয়ে এসব করাচ্ছে তোমাদের কাছে আমাকে খারাপ বানাচ্ছে।
আদ্র রাফিয়াকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে জোরে থাপ্পড় মারলো ওর গালে রাগে ওর চোখ লাল হয়ে গেছে।......তুই আবারো আমার আরুকে নিয়ে মিথ্যে বলছিস। তুই এতোটা নিচে নেমে গেছিস যে একটা অসহায় ছেলেকে তোর এই পাপ কাজে লিপ্ত করেছিস। অয়ন রাফিয়া তোমাকে কি করতে বলেছিলো বলো সব।
রাফিয়া আমাকে বলেছিলো সেদিন আরিশাকে ফুল দিতে উনি পেছন থেকে সে ছবি তুলে আপনাকে দেখাবে। আর ফোনও আমি করেছিলাম রাফিয়া যেভাবে বলতে বলেছে সেভাবেই বলেছি। ভাই বিশ্বাস করেন আমি নিরুপায় ছিলাম। আমার মা হসপিটালে ভর্তি অনেক টাকা লাগতো। রাফিয়া আমাকে বলেছিলো এসব করলে উনি টাকা দেবে আমাকে। আমি আমার মাকে বাচানোর জন্য এমন একটা কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।
অয়ন আরিশার সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে বললো.......আপু প্লিজ আমাকে মাফ করে দেন।
রাফিয়া চেঁচিয়ে বললো.......এই ছেলে আমাকে ফাসানোর জন্য মিথ্যে বলছো তাইনা।
আমি মটেও মিথ্যে বলছি না। আমি ভুল করেছি আপনার মতো মেয়ের সঙ্গ দিয়ে। আদ্র ভাই আমার মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। অনেক বড় পাপ করেছি আমি আরিশাকে ওসব বলে এতকিছুর পরেও আদ্র ভাই আমাকে ক্ষমা করে আমার পাশে দাড়িয়েছে। এই নিন আপনার টাকা।
অয়ন রাফিয়ার মুখের উপর টাকা ছুড়ে মারলো। আদ্র নিজের ফোন বেড় করে রাফিয়ার সাথে রাতে কি কথা হয়েছে সবাইকে রেকর্ডিং শোনালো।
আরিশার বাবা রাফিয়ার সামনে এসে বললো........রাফিয়া আমি আরিশাকে যতোটা ভালোবাসি তোকেই ততটাই ভালোবাসি আর তুই কি করলি এটা। আমার মেয়ের সংসার তুই এভাবে নষ্ট করতে চাইছিলি। আমার মেয়েটাকে তুই আদ্রর চোখে খারাপ করতে ওই ছেলেটাকে দিয়ে ছি।
মামা আমি......
আরিশার বাবা রাফিয়াকে চড় মেরে বললো........খবরদার আমাকে মামা বলবি না। এখনি বেড়িয়ে যাবি তুই এ বাড়ি থেকে।
আদ্রর বাবা মা আরিশার বাবা মা রাফিয়াকে অনেক কথা শোনালো।
আরিশা এতক্ষণ চুপ করে সব শুনছিলো। রাফিয়াকে ও দেখতে পারতো না ঠিকি কিন্তু এমন একটা কাজ যে ও করবে আরিশা ভাবতে পারছে না। আরিশার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে রাফিয়া সামনে গিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো..........
আমি তো তোমার ছোট বোন একটুও কি মনে হয়নি তুমি আমার নয়,নিজের ক্ষতি করছো। এটাকে তো ভালোবাসা বলে না আপু। এটাকে জেদ বলে। তুমি যদি আদ্রকে সত্যি ভালোবাসতে তাহলে চাইতে উনি ভালো থাকুক। কিন্তু তুমি কি করলে? তোমাকে আপু বলে ডাকতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে।
.
.
আদ্র অথইকে দিয়ে রাফিয়ার ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে এলো। আদ্র ওর বাবার সামনে গিয়ে বললো.......বাবা তুমি তে জানো আমি আরুকে কতোটা ভালোবাসি। দেখো আরু কাঁদছে এই বেয়াদব মেয়েটার জন্য কাঁদছে। আমি চাই এই মেয়ের ছায়া আর কোনোদিন এ বাড়িতে না পরুক বিশেষ করে আমার আরুর উপর। আমি চাই না ওর কারনে ফুপি আমাদের থেকে দূরে সরে যাক। ফুপিকে বলেছি আসতে সব বুঝিয়ে বলে এই বেয়াদবটাকে দূর করো এ বাড়ি থেকে।
আদ্রর বাবা ওর কাধে হাত রেখে বললো........আমি তোর ফুপিকে সব বলবো। আমার ছেলের হাসি খুশিটাই তো আমার কাছে সব।
আরিশা ওর মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। আদ্রর মা আরিশার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো........আরিশা সব ঠিক হয়ে গেছে কাঁদিস না মা। এই আদ্র আরিশাকে নিয়ে রুমে যা তোর ফুপি এলে আমরা যা বলার বলবো।
আদ্র অয়নকে বললো........এমন ভুল আর কখনো করো না যাও তোমার মায়ের কাছে যাও। টাকা লাগলে আমাকে বলবে। আদ্র আরিশাকে নিয়ে রুমে চলে গেলো।
আদ্রর ফুপি আসার পর আদ্রর মা সব কিছু বললো। আদ্রর ফুপিও খুব লজ্জিত মেয়ের কাজে। নিজের ভাইয়ের বাড়ির সবার কাছে মাথা উচু করে দাড়ানোর আর কোনো পথ থাকলো না। নিজের মেয়ের হয়ে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
আরিশার বাবা বললো........অদিতি তুই ক্ষমা চাইছিস কেনো। আমাদের ছোট বোন তুই কখনো ভাববি না আমরা তোকে ভুল বুঝেছি। রাফিয়া যা করেছে এতে তো তোর কোনো দোষ নেই। তোর সাথে আমাদের সম্পর্ক যেমন ছিলো তেমনি থাকবে। মন খারাপ করিস না বোন।
আদ্রর ফুপি জানে ভাইয়েরা উনাকে খুব ভালোবাসে। শুধু মাত্র রাফিয়ার জন্য আজ এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হলো।
আরিশা আদ্রর বুকে মাথা রেখে বসে আছে। আদ্র আরিশার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো........আরু সোনা মন খারাপ করে আছো কেনো?
রাফিয়া আপু এসব করতে পারলো আদ্র!!
ভুলে যাও, এসব ভেবে আর মন খারাপ করো না। যাই হয়ে যাক না কেনো আমি তোমার পাশে আছি এবং থাকবো।
আরিশা আদ্রকে আরে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আদ্র ওকে জড়িয়ে ধরে মুচকি হেসে বললো.......আরু তোমাকে আজ ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যাবো। যাবে তো?
আরিশার মন যতোই খারাপ থাক ফুচকার কথা শুনলে ওর মন ভালো হয়ে যাবে। তাই আদ্র ওর মন ভালো করতে ফুচকার কথা বললো।
শুধু ফুচকা??
আর কি খেতে চাও বলো??
আইসক্রিম খাবো আর....
আর কি??
পরে বলবো শোনো অথইকেও নিয়ে যাবো।
আমাদের মাঝে অথই কেনো??
আমি বাইরে গিয়ে মজা করে ফুচকা আইসক্রিম খাবো আর আমার বোনুটা বাড়িতে থাকবে না সেটা হবে না।
আমার বউ দেখছি ননদ ভক্ত হয়ে গেছে।
এই শোনো ও আমার ননদ ঠিকি কিন্তু তার আগে ও আমার বোন বুঝেছো?
হ্যা বুঝেছি। ঠিকআছে বিকেলে দুজনেই রেডি হয়ে থেকো। এখন একটা মিষ্টি দাও তো।
আরিশা হুট করে আদ্রর গালে কিস করে দৌড়ে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে। আদ্র হা করে তাকিয়ে আছে ও ভেবেছিলো আরু হয়তো লজ্জা পাবে। বলার সাথেই এভাবে কিস করে পালাবে ভাবতে পারে নি!!
No comments