Header Ads

Header ADS

তোকে_অনেক_ভালোবাসি-----পর্ব_১৮

রাত তখন ১০:১৫ বাজে ছাদের ঠিক মাঝখানে দোলনায় পা ঝুলিয়ে বসে আছি আর আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে আদ্র। আকাশে চাঁদ আর মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছে। চাঁদটা যখনি একটু আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে তখনি মেঘেরা তার উপর গিয়ে আছড়ে পড়ছে। আচ্ছা মেঘেরাও কি চাঁদকে হিংসে করছে?

আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনে ভেবে চলছি আদ্রর ডাকে হুস এলো
এই আরু কখন থেকে ডাকছি কি ভাবছিস এতো মন দিয়ে হুম??
কই কিছু ভাবছি নাতো।
ভাবলেও বলবি না জানি। থাক ওসব এখন বল তুই কতটা খুশি হয়েছিস সবাই আমাদের সম্পর্ক মেনে নেওয়াতে??
অনেক অনেক অনেক বেশি খুশি হয়েছি আমি। আমি না ভাবতেও পারিনি আব্বু রাজি হয়ে যাবে!
আমিও তো ভাবিনি। যাক ভালোই হয়েছে আমাদের মধ্যে কোনো বাধা এলো না। সবাই মেনে নিয়েছে। এখন শুধু আমার আরু সোনাকে বউ করে নিতে হবে। তবে তার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বাবা বলেছে আমার মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর আমাদের বিয়ের কাজটা সারবে।
আমি কিছু না বলে আদ্রর চুলের মাঝে হাত বুলাচ্ছি উনি আবারো বলতে লাগলো.....
জানিস তো আরু তোর প্রতি আগে এমন ফিলিংস ছিলো না তারপরেও কেনো জানি তোকে বোন ভাবতে ইচ্ছে করতো না মন থেকেই আসতো না ওটা। তুই যখন ক্লাস টেন এ পড়তি তখন হয়তো তোর এস এস সি এর টেস্ট পরীক্ষা চলছিলো। তোর পরীক্ষা যখন শেষ হয় আমি একটা কাজে তোর স্কুলের সামনে গিয়েছিলাম। হঠাৎ চোখ পড়েছিলো রাস্তার ওপাশে তুই একটা ছেলের সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলি তখন আমার তোর ওই ছেলেটির সাথে কথা বলাটা মটেও পছন্দ হয়নি। আমি খুব রেগে চলে আসি সেখান থেকে কিন্তু তখনো আমি সে রাগের কারন বুঝতে পারি নি। তবে কোনো ছেলেকে তোর আশে পাশে সহ্য করতে পারতাম না। কেমন যেনো ব্যাথা অনুভব করতাম বুকে। খেয়াল করতে লাগলাম তোর চলা ফেরা কথা বলা বলতে গেলে তোর সব কিছুতেই আমি ফলো করতাম। তারপর থেকেই তোকে ভালোলাগতে শুরু করলো আর এই ভালোলাগাটা আস্তে আস্তে ভালোবাসাতে রুপ নিলো। ভেবেছিলাম এ ভালোবাসার পরিনতি হয়তো খারাপ হবে কিন্তু না সব ঠিকআছে। আমি তোকে নিয়ে বাঁচতে চাই আরু কখনো আমাকে একা ছেড়ে যাস না প্লিজ। তোকে আমি আমার বুকের মাঝ খানটায় আগলে রাখবো দূরে যেতে দেবো না তোকে। তোকে ছাড়া যে একটি মুহুর্ত চলবে না আমার #তোকে অনেক ভালোবাসি আরু।
আমি এতক্ষণ আদ্রর দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে শুনছিলাম সব উনার প্রতিটি কথাতে ছিলো আমার জন্য অসীম ভালোবাসা। আমি মুচকি হেসে উনার হাতটি আমার হাতের মুঠোয় নিলাম। আদ্র শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। মেঘ সরে গিয়ে চাঁদের আলোটা আদ্রর মুখে পড়েছে। কতটা মায়া জড়ানো এই মুখে তার চোখ দুটো যেনো টানছে আমাকে খুব করে টানছে। আদ্র আমার কোল থেকে উঠে আমার চিবুকে হাত রেখে বললো.........
সব তো আমিই বলছি তোর কি কিছু বলার নেই?? আচ্ছা এটা বল আমাকে নিয়ে তোর অনুভূতি কতটা??
সব অনুভূতি জানতে নেই। আমার অনুভূতি গুলো হয়তো তোমার মতো হবে না। তাই না জানাটাই ভালো কিন্তু আবার এটা ভেবো না যে আমি তোমায় ভালোবাসি না।
আদ্র মুচকি হেসে আমাকে বুকে জড়িয়ে বললো........ঠিকআছে তোর অনুভূতি আমি জানতে চাইবো না। তোর মনের গভীরে যে আমি আছি এতেই আমি ধন্য।আর আমি এটাও জানি আমার আরুও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
.
.
দেখতে দেখতে কেটে গেলো আরো কয়েক মাস। এইস এস সি তে আমার রেজাল্ট খুবই ভালো হয়েছে। আর ভালো ভার্সিটিতেও চান্স পেয়েছি। এর সবটাই আদ্রর জন্য সম্ভব হয়েছে উনি আমাকে গাইড না করলে হয়তো ভালো ভার্সিটিতে চান্স পেতাম না তার কারন হলো সে সময় টাতে আমি আদ্রর প্রেমে পড়ে পড়াশোনাটা ভুলেই যাচ্ছিলাম।
টিভি দেখছিলাম অথই দৌড়ে এসে আমার হাতে ফোন ধরিয়ে বললো.......
ফোনটা রুমে না রেখে নিজের সাথে রাখতে পারো না বারবার কল আসছিলো।
কে কল দিয়েছিলো??
মনিকা আপু। কল ব্যাক করো।
আমি সোফা থেকে লাফিয়ে উঠলাম মনিকা কল দিয়েছে শুনে। আগের মতো এখন আর ওর সাথে কথা হয় না এইজন্যই বেশি আনন্দ হচ্ছিলো। আমি কল ব্যাক করতেই মনিকা চেঁচিয়ে বলে উঠলো........
ওই হারামি কত্তো বার কল দিয়েছি তোরে ধরছিস না কেনো?
আমি জোরে হেসে উঠে বললাম.......এ আমি কাকে ফোন দিয়েছি! আপনি আমার বেস্টু মনি তো?? আমার বেস্টুটা তো এতো রেগে কথা বলতো না কখনো।
আরু ফাজলামি রাখ। ১৬ বার তোর নাম্বারে কল দিয়েছি কই ছিলি তুই ফোন রেখে?
আমি তো নিচে টিভি দেখছিলাম অথই এনে দিলো ফোন বললো তুই কল করেছিস। সরি জানু রাগ করিস না প্লিজ।
ঠিকআছে করলাম না রাগ। যার জন্য ফোন দিয়েছি শোন আমি আজ সকালে বাড়িতে এসেছি তুই সন্ধায় চলে আয় খুব মিস করছি তোকে।
কিহ তুই বাড়িতে এসেছিস! কিন্তু সন্ধায় কি করে যাবো যেতে দিবে না। আমি বরং কাল সকালে আসবো।
সন্ধায় আসতে বলেছি সন্ধায় আসবি ব্যাস। আন্টিকে মানে তোর মাকে আমি বলে ম্যানেজ করবো তুই ঠিক সময়ে চলে আসবি।
মাকে না হয় ম্যানেজ করবি কিন্তু আদ্র উনাকে কি বলবো??
মনিকা হেসে বললো........হুম এবার বুঝলাম তোর আসতে না চাওয়ার কারন। ভাবিস না আদ্র ভাইয়াকে আমি আগেই বলেছি উনি নিজেই তোকে নিয়ে আসবে বলেছে।
মনি তুই আগে বলবি না! আমি রেডি হচ্ছি তুই মাকে ফোন দিয়ে বল।
.
.
আদ্র আমাকে মনিকাদের বাড়িতে পৌছে দিয়ে গেছে। অনেক দিন পর মনিকাকে পেয়ে খুব ভালো লাগছিলো। দুজনে আড্ডা দিতে দিতে রাত সাড়ে ১১ টা বেজে গিয়েছে। এর মাঝে আদ্র কয়েক বার ফোন দিয়েছে।
রাতে মনিকার পাশে ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ আদ্র বলে চিৎকার করে উঠলাম। হাত পা কাঁপছিলো সারা শরীর ঘামছে। বেডশীট খামচে ধরে ফুপিয়ে কেদে চলেছি।মনিকা চিৎকার শুনে ওর ঘুম ভেঙে গিয়েছে মনিকা তাড়াহুড়া করে উঠে বসে আতংকিত হয়ে বললো.......
আরু কি হয়েছে এভাবে চিৎকার করলি কেনো কাঁদছিস কেনো তুই??
আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না শুধু আদ্র বলে মনিকাকে জড়িয়ে ফুপিয়ে কাঁদছি।
আরু কাঁন্না থামা বল আমাকে কি হয়েছে? আদ্র ভাইয়া ফোন দিয়েছিলো কিছু বলেছে তোকে??
মনি আ আদ্র চলে যাচ্ছে আমাকে অন্ধকারে রেখে উনি চলে যাচ্ছে।
আদ্র ভাইয়া তোকে ছেড়ে কোথাও যায় নি তুই সপ্ন দেখেছিস। দেখি চোখ খোল ভয় পাস না আমি এক্ষুণি কথা বলিয়ে দিচ্ছি আদ্র ভাইয়ার সাথে।
মনিকা আমাকে একহাতে জড়িয়ে রেখেই আদ্রকে ফোন দিলো ৩ বার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ হলো ওপাশ থেকে কিছু বলার আগেই মনিকা বললো........
ভাইয়া আপনি কোথায় এখন??
আমি তো বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম। কিন্তু তুমি এতো রাতে ফোন দিলে যে আরু ঠিকআছে তো??
ভাইয়া আরু ঘুমের মাঝে হয়তো আপনাকে নিয়ে কোনো খারাপ সপ্ন দেখেছে হঠাৎ করেই চিৎকার করে উঠলো। তারপর থেকেই কাঁন্না করছে আর বলছে আদ্র আমাকে অন্ধকারে রেখে চলে যাচ্ছে।
আদ্র অনেকটা ভয় পেয়ে গেলো আরু হঠাৎ এমন কি দেখলো যে এটা বলছে!
আদ্র বললো.......মনিকা তুমি আরুকে সামলাও আমি আসছি।
রাত আড়াইটা বাজে ভাইয়া এতো রাতে না এসে আপনি সকালে আসুন। আরু এখন একটু শান্ত হয়েছে।
ঠিকআছে ফোনটা আরুর কাছে দাও।
আমি ফোন ধরতেই আদ্র চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠলো.......এই পাগলি কি হয়েছে হুম সপ্ন দেখে কেউ এভাবে কাঁন্না করে? আমি তোকে রেখে কোথাও যাবো না। আর ভয় পাস না কেমন আমি সকালেই আসবো তোকে নিতে। এখন লক্ষি মেয়ের মতো ঘুমিয়ে পড়।
তুমি আমাকে অন্ধকারে রেখে যাবে নাতো কখনো??
আদ্র খানিকটা হেসে বললো.......আমার আরু আমাকে এতো ভালোবাসে! না আরু সোনা তোকে রেখে আমি কোথাও যাবো না আর অন্ধকারে তো কখনোই রাখবো না। ঘুমিয়ে পড় এখন।
হুম তুমি সকালেই আসবে কিন্তু।
ফোন রাখতেই মনিকা হেসে বললো.......এতো ভালোবাসিস তুই আদ্র ভাইয়াকে! আচ্ছা কি দেখেছিলি সপ্নে ভয় পাচ্ছিলি কেনো এতো??
মনি আমার খুব মাথা ব্যাথা করছে কাল বলবো।
আচ্ছা ঠিকআছে এখন ঘুমিয়ে পড় মাথা ব্যাথা কমে যাবে।
ওদিকে আদ্র ভাবছে.......আরু হঠাৎ কি দেখলো সপ্নে এতো ভয় পাচ্ছে কেনো? অন্ধকারে রেখে যাবো কেনো আমি ওকে? এ সপ্নের মাঝে কি কোনো সত্যতা আছে? নাহ এ ভাবছি আমি সপ্ন কখনো সত্যি হয় না। তবে পুরোটা জানতে হবে আরু কি দেখেছে।
.
.
সকালে ঘুৃম ভাঙতেই আদ্রকে দেখলাম আমার পাশে বসে আছে। উনার মুখটা মলিন দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে রাতে ঘুমায় নি। আমি উনার দিকে তাকাতেই মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো.......
গুড মর্নিং আরু।
হুম গুড মর্নিং। তুমি কখন এসেছো? তোমার চোখে মুখের এই অবস্থা কেনো ঘুমাও নি তাইনা??
তুই যেভাবে কাঁন্না করছিলি রাতে ভাইয়া কিভাবে ঘুমাবে বল। ভোর সাড়ে পাঁচটার পরেই ভাইয়া চলে এসেছে। এসেই তোর পাশে বসে তোর ঘুম ভাঙার অপেক্ষা করছে।
মনিকা রুমে ঢুকে কথা গুলো বলে বেডের ওপর পাশে বসলো আমি অবাক চোখে আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছি। এই মানুষটা আমাকে এতো ভালোবাসে!
আদ্র বললো........আরু কেনো এতো ভয় পেয়েছিলি বল তো??
আদ্রর মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আমিও না কি আজেবাজে সপ্ন দেখে কাঁন্না কাটি জুরে দিয়ে উনাকে কষ্ট দিলাম।
মনিকা বলে উঠলো.......কি হলো আরু বল।
আমি আদ্রর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম........আমি দেখলাম আদ্র আর আমি দূরে কোথাও ঘুরতে গিয়েছি সেখানে অনেক মানুষ ছিলো কিন্তু আমাদের দুজনের থেকে দূরে ছিলো তারা। আমরা একটা রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম আশে পাশে তেমন ঘরবাড়ি ছিলো না হঠাৎ রাস্তার পাশে একটি ছোট্ট ঘরের ভেতর থেকে বাচ্চার কাঁন্নার আওয়াজ আসছিলো। আমি আদ্র সেখানে গেলাম ঘরের ভেতর যেতে নিলে আদ্র আমার হাত আকড়ে ধরছিলো আর উনার চোখ থেকে পানি পড়ছিলো তখন। আমি নিজের হাত ছাড়িয়ে মুচকি হেসে ঘরের ভেতর ঢুকলাম উনি দরজার বাইরেই দাড়িয়ে ছিলো। হঠাৎ করেই পুরো ঘরটা অন্ধকার হয়ে আসছিলো আমি জোরে জোরে আদ্রকে ডাকতে লাগলাম কিন্তু উনি কোনো সাড়া দিলো না দরজার দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম উনি চোখের পলকে দূরে চলে যাচ্ছে। আমি বারবার কাঁন্না করে ডাকছিলাম কিন্তু উনি শোনে নি। আর তখনি দরজাটা বন্ধ হয়ে পুরো ঘরটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছিলো।
আমার চোখ থেকে আবারো পানি পড়তে লাগলো। আদ্র আমাকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিলো........আরু এমন একটা সপ্ন দেখে কাঁদতে হয়? আমি তো বলেছি তোকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না। ওসব ভুলে যা সপ্ন তো সপ্নই হয় এর কোনো বাস্তবতা নেই সবটাই মনের ভুল। তুই হয়তো আমাকে নিয়ে একটু বেশি ভাবিস তাই এসব দেখেছিস।
মনিকা বলে উঠলো.......ভাইয়া আরিও মনে করি এসব শুধুই মনের ভুল কিন্তু আপনার এই পাগলি টাই তো বুঝছে না। কিভাবে বাচ্চাদের মতো কাঁদছে।
মনিকা তোমার বেস্টু বড় হয়েছে নাকি মাঝে মাঝে যা করে। এইযে দেখো কাঁদছে আর আমার বুকে বাচ্চাদের মতো নাক ঘষছে।
আমি সাথে সাথে উনার বুক থেকে উঠে অভিমানি স্বরে বললাম.......ঠিকআছে আমি যখন কাঁন্না করবো তখন তোমার বুকে নিয়ো না আমাকে।
আমার আরু সোনাটা অভিমাম করেছে। ঠিকআছে আর বলবো না তোর যতো ইচ্ছে আমার বুকে কাঁন্না করবি।
কথাটা বলেই আদ্র আমাকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলো। মনিকা হেসে বললো.......ভাইয়া এখানে আমি আছি কিন্তু।
তাতে কি হয়েছে আমার বউ এর বেস্টু মানে আমারো বেস্টু তাইনা। আর বেস্টুর সামনে কোনো বাধা নেই। দরকার হলে তোমার সামনেই........
আমি আদ্রর বুকে মেরে নিজেকে ছাড়িয়ে বললাম......দয়া করে নিজের মুখটা বন্ধ রাখুন।
ওকে বন্ধ রাখলাম।এখন রেডি হ বাড়ি যেতে হবে তো।
ভাইয়া আরু আজ বিকেল পর্যন্ত থাকনা আমার সাথে।
না মনিকা মা চিন্তা করছে হয়তো ভোরে আসার সময় মা দেখে বারবার জানতে চাইছিলো কি হয়েছে। আমি কোনো ভাবে মাকে বুঝিয়ে চলে এসেছি। এখন আরুকে না নিয়ে গেলে একের পর এক প্রশ্ন করবে।
ওহ ঠিকআছে নিচে চলুন মা হয়তো নাস্তা রেডি করে ফেলেছে আরু তুই ফ্রেস হয়ে নে।
মনিকাদের বাড়ি থেকে নাস্তা করে বেড়িয়ে পড়লাম। গাড়িতে উঠে আদ্র একহাতে ড্রাইভ করছিলো আর অন্য হাতে আমার এক হাত ধরে রেখেছিলো।
আরু খুব ভয় পেয়েছিলি তাইনা??
হুম কিছুসময়ের জন্য মনে হয়েছিলো তোমাকে হয়তো আর দেখতে পাবো না।
ওসব আর মনে রাখিস না আমি তোর পাশে আছি আর সব সময় থাকবো। শোন বাড়িতে কাউকে বলিস না অযথা চিন্তা করবে।

No comments

Theme images by rami_ba. Powered by Blogger.