তোকে_অনেক_ভালোবাসি------পর্ব_১৭
ছাদের এক কোনে দাড়িয়ে আছি আর চোখের পানি মুছছি। চোখের পানি যেনো বাধ মানছে না আজ। নিজের ভালোবাসার মানুষের বুকে অন্য কোনো মেয়েকে দেখার যন্ত্রণা অতি বেদনা দায়ক। আদ্র তো আমাকে ভালোবাসে তাহলে নিশা আপু কেনো উনার বুকে ছিলো? তাহলে কি এতদিন আদ্রর বলা সব কিছুই মিথ্যে ছিলো,আমার প্রতি উনার ভালোবাসাটা ও কি মিথ্যে ছিলো? নাকি আমার ভুল হচ্ছে কোথাও?
হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেলাম। চোখ মুছে ঘুরে তাকাতেই আদ্রর মলিন মুখটা দেখতে পেলাম। মুহুর্তেই আমার চোখে আবার পানি জমে গেলো,ওখান থেকে চলে আসতে নিলে আদ্র আমার হাত ধরে নিলো। আমার কাছে এসে দুহাত আমার মুখ উপরে তুলে বললো.......
আরু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখ তোর প্রতি আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও মিথ্যে নয়। আরু সব সময় চোখের দেখাটা সত্যি হয় না। তুই শুধু দেখলি নিশা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে। কিন্তু আমাদের মাঝে কি কথা হয়েছে সেগুলো শুনিস নি? সবটা না শুনে কেনো ভুল বুঝছিস আমাকে।
আদ্রর গলা কাপছিলো কথা বলার সময়। আমি নিজেকে ছাড়িয়ে দূরে এসে দাড়ালাম.......উনি তো ভুল কিছু বলেনি কথাটা তো সত্যি সব সময় চোখের দেখাটাও সত্যি হয় না। তাহলে কি এর পেছনে অন্য কিছু আছে? কি কথা হয়েছিলো উনাদের মাঝে এসব তো শুনিনি আমি। মন চাইছে আদ্রর থেকে সবটা শুনতে কিন্তু পারছি না চাপা অভিমান জমা হয়েছে মনে।
আদ্র এবার আমার সামনে এসে হাটু গেড়ে বসে পড়লো উনার চোখেও পানি জমে গিয়েছে আমার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো.......আরু আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিস না। তুই আমাকে ভুল বুঝে দূরে সরে গেলো আমি নিজেকে সামলাতে পারবো না। আমি তোকে সবটা খুলে বলছি তার আগে একবার কথা বল আমার সাথে।
কি বলবো বুঝতে পারছি না চোখের পানি গাল বেয়ে আদ্রর হাতে গিয়ে পড়লো। আদ্র উঠে দাড়িয়ে আবারো বলতে লাগলো........
আরু কাঁদিস না তুই কাঁদলে আমার সহ্য হয় না। বুকের মাঝে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করি তোর চোখের পানি দেখলে। এই আরু কথা বলনা একটু। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে চুপ করে আছিস কেনো কিছু তো বল। আমি #তোকে অনেক ভালোবাসি আরু। বিশ্বাস কর তোর জায়গাটা আমি কখনো কাউকে দিতে পারবো না।
আমি মাথা নিচু করেই ভাবছি.......সত্যি আমার দেখার ভুল ছিলো। উনার কোনো কথাই আমার মিথ্যে বলে মনে হচ্ছে না। উনি কেমন যেনো পাগলের মতো বিহেব করছে। আদ্রর প্রতিটি বাক্যতে বুঝিয়ে দিচ্ছে কতটা ভালোবাসে উনি আমাকে। নিজের উপরেই রাগ হচ্ছে আমার কেনো এই মানুষটাকে ভুল বুঝলাম আমি। কেউ কাউকে কতটা ভালোবাসলে চোখের থেকে পানি ঝড়ায় নিজের সব আবেগ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে তার ভালোবাসা কতটা গভীর।
আদ্রর বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো.......
আরু প্লিজ কান্না থামা। আমার কথাটা শোন সবটা না শুনে ভুল বুঝিস না আমাকে।
আদ্রর বুকে মাথা রেখেই বললাম.......তোমাকে ভুল বুঝে আমি কি করে থাকবো বলো। নিশা আপুকে তোমার বুকে দেখে সহ্য হচ্ছিলো না আমার। হ্যা একটু ভুল বুঝেছিলাম তোমাকে কিন্তু সে ভুলটা তোমার ভালোবাসার কাছে ক্ষুদ্র একটা বিষয়। তোমাদের মাঝে কি কথা হয়েছিলো আমি জানতে চাইনা শুধু এটাই চাই তোমার বুকে যেনো বাকীটা জীবন কাটাতে পারি। তোমার ভালোবাসা নিয়ে বাচতে পারি।
আদ্র শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো......আমিও তোকে আগলে রাখবো এ বুকে কখনো দূরে সরাবো না।
আরুকে ছেড়ে আদ্র ওর কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিলো। চোখে পানি ছলছল করছে ঠোঁটে লেগে আছে মুচকি হাসি। আদ্র আরুকে নিশার ব্যাপারে সব বললো,যদিও আরু আর কিছু শুনতে চাইছিলো নয়। তারপরেও আদ্র বলেছে ও চায় না আরুর মনে কোনো ক্ষুদ থাকুক।
.
.
ছাদের সিঁড়ির সামনে দাড়িয়ে নিশা এতক্ষণ ওদের দেখছিলো ওদের মাঝে কি কথা হয়েছে সবটাই শুনেছে। নিশা ঠোঁট কামড়ে কেঁদে চলেছে। আদ্র আরু ওকে দেখার আগেই নিচে চলে এলো। আরুর রুমে গিয়ে ব্যাগ গুছাতে লাগলো। নিশা নিজে নিজে বিড়বিড় করে বলছে.......আদ্র আমি সত্যি তোকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু এটা তো একতর্ফা ভালোবাসা সেটা শুধু আমার দিক থেকেই। তোর মনে আমি না অন্য কেউ আছে। সবার ভালোবাসা তো পূর্ণতা পায় না আমি না হয় দূর থেকেই তোকে ভালোবেসে যাবো। আরিশা খুব ভালো মেয়ে তুই ওকে নিয়ে সুখে থাক আদ্র আমি তোদের মাঝে কোনো বাধা হয়ে থাকবো না। আমি কাল সকালেই চলে যাবো।
নিশা ব্যাগ গুছানো শেষ করে আরু রুমে আসার আগেই অথই এর রুমে চলে গেলো। এখন অনেক রাত তাই সকালে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
আমি রুমে এসে নিশা আপুকে না পেয়ে অথই এর রুমে গেলাম। দরজা খোলা ছিলো অথই ঘুমিয়ে পড়েছে আর নিশা আপু বেডের এক পাশে গুটুশুটি মেরে বসে আছে। উনার চোখ লাল হয়ে ফুলে গিয়েছে,গালে আঙ্গুলের ছাপ বসে গেছে। আমি ধীর পায়ে নিশা আপুর কাছে গিয়ে ডাকলাম......
নিশা আপু
আমার কন্ঠ শুনে নিশা আপু চমকে উঠলো আমার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করে বললো......
আরিশা তুমি,কিছু বলবে?
আপু আমি বুঝতে পারছি তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তুমি.....
আমাকে থামিয়ে নিশা আপু বলতে লাগলো......আরিশা আমি এসব নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাইনা। আমি তোমাদের মাঝে থাকবো না চলে যাবো। আদ্রকে আমি যেমন ভালোবাসি তুমিও ভালোবাসো কিন্তু আদ্র আমাকে নয় তোমাকে চায় তোমাকে ভালোবাসে। ওকে তুমি ভালো রেখো।
এই মুহুর্তে আমার কি বলা উচিত কিছুই মাথায় আসছে না। নিজের ভালোবাসার ভাগ কেউ দিতে চায় না আমিও পারবো না। ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যা মানুষকে খুব সহজেই সার্থপর বানিয়ে দেয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে নিশা আপুকে শান্তনা ছাড়া কিছু দিতে পারবো না।
.
.
আদ্রর সামনে নিশা আর যায়নি খুব সকালেই আদ্রর মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে,বুকে একরাশ চাপা কষ্ট আর ভালোবাসা হারানোর ব্যাথা নিয়ে।
কেটে গেলো আরো কিছুদিন। আদ্র এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আরুকে কোচিং এ ভর্তি করাবে ভার্সিটিতে এডমিশন দেওয়ার জন্য।
আমাকে নিয়ে আদ্র উনার পরিচিত একটা কোচিং এ যাচ্ছে। গাড়িতে পাশাপাশি বসে আছি উনি ড্রাইভ করছে। আমি উনার দিকে তাকিয়ে বললাম......
এতো তাড়াতাড়ি ভর্তি হওয়ার কি খুব দরকার ছিলো?
হুম অবশ্যই আছে তোকে আরো আগে ভর্তি করালে ভালো হতো।
রেজাল্টের তো এখনো দেরি আছে আরো কিছুদিন পর থেকে কোচিং করতাম।
শুধু শুধু তো বলি না তোর মাথায় বুদ্ধি নেই। আগে থেকে পড়লে যে ভালোভাবে সবটা বুঝতে পারবি,একি বিষয়ে বারবার পড়তে পারবি এটা বুঝিস না? আগে থেকে পড়লে প্রবলেম টা কোথায়? বাড়িতে বসে সারাদিন ফোন আর টিভি নিয়ে বসে না থেকে মাথার মধ্যে বই পুস্তকের শিক্ষাটা ঢুকানোর চেষ্টা কর কাজে আসবে।
আমি সারাদিন ফোন আর টিভি নিয়ে থাকি??
তাছাড়া আর কি। ওহ আরো আছে তো সুযোগ পেলেই অথইকে নিয়ে আড্ডা দেওয়া খাওয়া আর ঘুম,এসবই তো।
আমি ভেংচি কেটে বিড়বিড় করে বললাম........এ সব কিছুর মাঝে যে তোমাকেও সময় দেই সেটা বলতে বাদ রাখলে কেনো।
আদ্র মুচকি হেসে বললো.......ওপস সরি আরু সোনা তুই যে আমাকেও সময় দিস এটা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। আসলে কি বলতো তুই আমার আশেপাশে থাকলে সব গুলিয়ে ফেলি আমি।
আমি অবাক চোখে উনার দিকে তাকিয়ে ভাবছি......আমি তো কথাটা জোরে বলিনি উনি শুনে ফেললো!!
এতো ভাবাভাবির কি আছে হুম,তুই বিড়বিড় করে বললে আমি শুনতে পারবো না? আমি তোর মুখের কথা না শুনেও তোর চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারবো তোর মনে কি চলছে।
আমি মনে মনে কি ভাবছি এটাও বুঝে গেলে!!
ইয়েস,আরু সোনা এটাকেই তো বলে মনের টান।
আমি মুচকি হেসে বাইরে তাকালাম,ভালোবাসার হয়তো কোনো রং হয়না আর যদিও হয়ে থাকে আমার জানা নেই। তবে আমার আর আদ্রর ভালোবাসার রং হবে সাদা কালো। এ রং দুটির মাঝে পার্থক্য অনেকটা হলেও এর মিলবন্ধন অটুট। সাদা কালো খুব সহজেই মিশে যেতে পারে একে ওপরের সাথে।
.
.
কোচিং এ ভর্তি করিয়ে আদ্র আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে কোনো একটা কাজ আছে বলে চলে গেলো। বাড়িতে ঢুকে দেখি ড্রয়িংরুমে আরিফ আঙ্কেল আর একটা ছেলে বসে আছে। আমাকে দেখে আরিফ আঙ্কেল হেসে বললো.......
ওই তো আরিশা মামনি চলে এসেছে।
আমি এসেছি শুনে মা কাকিমা ঘুরে তাকালো সাথে ছেলেটিও। আব্বু বললো......আরিশা এখানে এসে বসো।
আমি একবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছি আবার কাকিমার দিকে। কাকিমা আমার কাছে এসে আস্তে করে বললো.......
আরিশা তোকে যা বলেছে শোন যা বস ওখানে।
কিন্তু কাকিমা আরিফ আঙ্কেলের সাথে ছেলেটি কে?
তোকে দেখতে এসেছে।
কিহ! এটা কেমন কথা আমাকে না জানিয়ে একটা ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে! আমি বসবো না এখানে রুমে যাচ্ছি।
আরিশা এমন করে না তোর আব্বু ও জানতো না হঠাৎ করেই এসেছে। তুই কোনে চিন্তা করিস না তোদের ব্যাপারে তোর বড় চাচ্চু আজই কথা বলবে তোর আব্বুর সাথে। এখন চুপ থেকে সামলে নে।
আব্বুর পাশে বসে আছি মাথা নিচু করে। আমার চোখ নিচের দিকে থাকলেও বেশ বুঝতে পারছি ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এখানে এখন আদ্র থাকলে কি যে হতো কে জানে। আমি কিছুক্ষণ বসে থেকে মায়ের দিকে তাকালাম মা হয়তো বুঝেছে আমার অস্বস্তি লাগছে তাই আব্বুকে বলে আমাকে রুমে পাঠিয়ে দিলো।
আদ্র দুপুর পরে বাড়িতে এসে অথই এর থেকে শুনে মনমরা হয়ে বসে আছে। আমিও রুমেই বসে আছি আর ভাবছি চাচ্চু আব্বুকে বলার পর কি হবে।
রাতে চাচ্চু বাড়িতে এসে আব্বু মা কাকিমা আদ্রকে ড্রয়িংরুমে যেতে বললো। আমি রুমেই বসে আছি আর ভাবছি কি হতে চলেছে।
ড্রয়িংরুমে..........
আব্বু চাচ্চুকে বললো........
ভাইজান সবাইকে ডাকলে কেনো এখানে??
আদনান,আরিফ নাকি আজ একটি ছেলে নিয়ে এসেছিলো আরিশাকে দেখাতে??
হ্যা ভাইজান। আরিফ আমাকে না জানিয়েই এনেছে। জানলে তোমাকে বলে তারপর আসতে বলতাম।
ওহ, থাক ওসব কথা আসল কথায় আশা যাক।
কি কথা ভাইজান?
আদনান আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কিছু বলবো না,কথাটা হলো আরিশা মাকে অন্য কোথাও নয় এবাড়িতেই রাখতে চাই আদ্রর বউ করে। এতে বাড়ির মেয়ে বাড়িতেই থাকবে। এখন তুই ভেবে আমাকে তোর ডিসিশন জানা আর অনু আরিশা যেহেতু তোমার মেয়ে তোমার কিছু বলার থাকলে বলো?
আরিশার আব্বু আর ওর মা অবাক হয়ে একে ওপরের দিকে তাকাচ্ছে,উনারা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি আদ্রর বাবা আরিশাকে ছেলের বউ করতে চাইবে। আদ্র কারো দিকে তাকাচ্ছে না নিচের দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল নাড়ছে।
আরুর মা হঠাৎ করে বলে উঠলো........ভাইজান আমার কোনো অমত নেই। কিন্তু আদ্র বা আরিশা ওদের ও মতামত থাকতে হবে।
আদ্র চোখ তুলে ওর মায়ের দিকে তাকালো আদ্রর মা মুচকি হেসে বললো........আদ্র আর আরিশা ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে।
আরিশার মা চোখ বড় বড় করে ফেললো আরিশার আব্বু বিষ্ময় চোখে তাকিয়ে বললো........ভাবি তুমি ঠিক বলছো তো?
আদ্রর বাবা বলে উঠলো.........আদ্রর মা ঠিকি বলেছে।
আরিশার আব্বু চুপ করে বসে আছে উপস্থিত সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার মতামত কি জানতে।
আরিশার আব্বু মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে উঠলো........ভাইজান আমার কোনো আপত্তি নেই। যদিও ভেবেছিলাম এটা ঠিক হবে না কিন্তু পরক্ষণে ভেবে দেখলাম আমার মেয়ে আমার সামনেই থাকবে এ বাড়িতেই।তাছাড়া আরিশা আদ্রকে ভালোবাসে আমি ওর বাবা হয়ে ওর মুখের হাসিটা কেড়ে নিতে পারি না।
আদ্র নিজের চাচ্চু দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে ভাবছে...... সে এতো সহজে মেনে নিলো!
আদ্র ভেবেছিলো হয়তো রাগারাগি করবে বলবে এ সম্পর্ক সে মানবে না কিন্তু আদ্রর ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে সে রাজি হয়ে গেলো।
সবাই খুব খুশি এখন নিজেদের মধ্যে আবার নতুন সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছে। অথই উপর থেকে দৌড়ে নিচে এসে বললো.......
তোমরা এখানে বসে হাসছো, তারমানে খুশির খবর আছে তাইনা? ওদিকে আরিশা আপু মন খারাপ করে বসে আছে কি হবে ভেবে।
আরিশার মা উঠে দাড়িয়ে বললো.......দুপুর থেকেই ওর মন খারাপ ছিলো কিন্তু কেনো জানা ছিলো না এখন বুঝতে পারছি। আমি যাচ্ছি ওর মন ভালো করে দিয়ে আসি।
আরুর মা সামনে পা বাড়াতেই আদ্র বলে উঠলো.......কাকিমা আমি যাই আরুর কাছে?
আদ্রর মা মুচকি হাসছে আরুর মা হেসে বললো......ঠিকআছে যা।
আদ্র খেয়াল করলো ওর মা কাকিমা অথই মুখটিপে হাসছে ও মাথা চুলকে মৃদু হেসে উপরে চলে গেলো।
No comments