তোকে_অনেক_ভালোবাসি------পর্ব_১৬
মনিকার আজ গায়ে হলুদ একটু আগেই এসেছি ওদের বাড়িতে আমার সাথে অথই এসেছে। আদ্র শাড়ি পড়তে বারন করেছে তাই আমি হলুদ আর সবুজের মিশ্রণে একটা গাউন পড়েছি। মনিকাকে সাজিয়ে হলুদের স্টেজে এনে বসানো হয়েছে। ওকে খুব সুন্দর লাগছিলো দেখতে হলুদ শাড়ি ফুলের গহনা তে মনিকাকে হলুদ পরী দেখতে লাগছিলো। এতটাই সুন্দর লাগছিলো যে আমি নিজেই ক্রাশ খেয়েছি। ওর পাশে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বললাম.......
মনি তোকে হলুদের সাজে দেখে আমি চোখ সরাতে পারছি না কাল বিয়ের সাজে দেখলে কি হবে কে জানে। এখন এটাই ভাবছি তন্ময় ভাইয়া কাল তোকে দেখে সেন্স হারিয়ে না ফেলে। (তন্ময় মনির হবু বর)
আরু চুপ করবি কি বলছিস এসব।
বা বাহ আমার বেস্টুটা দেখছি লজ্জা পেতেও শিখে গেছে।
মনিকার হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে রুমে আসতেই আদ্র কল দিলো। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো......
কি করছে আমার আরু সোনা?
মাত্র হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো রুমে এলাম। তুমি কি করছো?
তোকে দেখছি।
আমাকে! আমি তো তোমার সামনে নেই কিভাবে দেখছো?
আমার মনের আ্যলবামে তোর অনেক ছবি সযত্নে রেখে দিয়েছি সেগুলোই দেখছি।
ওহ তাই বলো আমি ভেবেছি তুমি হয়তো এসেছো এখানে।
হা হাহা তাই। তাহলে চলে আসি এখন। কি আসবো?
রাত হয়ে গেছে তো এখন আসতে হবে না কাল সকালে এসো।
মনিকা ভেতর থেকে আরুকে বললো.......
আরু তোর কথা বলা হলো আমাকে একটু হেল্প করনা পরে কথা বলিস।
শোনো এখন রাখছি আমি মনি ডাকছে।
আচ্ছা যা। আরু শোন।
হুম বলো?
সাবধানে থাকবি কেমন কোনো ছেলের সাথে কথা বলবি না। মনিকার সাথে থাকবি বাইরে বেড় হওয়ার দরকার নেই। অথইকে নিজের সাথে রাখবি সব সময় বুঝেছিস?
হুম বুঝেছি।
কি বুঝলি?
ওই তো আমি তোমার চোখে এখনো বাচ্চা তাই আমাকে সাবধান করছো। এই তোমার কি মনে হয় হুম আমার মাথায় কি কোনো বুদ্ধি নেই? আমি নিজেকে সামলাতে পারি না?
আরে আরু সোনা রেগে যাচ্ছিস কেনো টেনশন হয় তো আমার।#তোকে অনেক ভালোবাসি এইজন্যই তো এত চিন্তা তোকে নিয়ে।
আমি সেভ আছি আর থাকবো টেনশন করো না। রাখছি এখন।
.
.
মনিকা ওর হবু বরের সাথে ফোনে কথা বলছে অথই ঘুমিয়ে পড়েছে।অনেক রাত হয়েছে বিয়ে বাড়ি হলেও এখন চারিদিকে নিরবতা বিরাজ করছে। দরজায় কেউ নক করছে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে। আমি দরজা খুলতেই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে চোখের পলকও ফেলছে না। আমি ছেলেটির সামনে হাত নাড়িয়ে বললাম........
ভাইয়া কিছু বলবেন আপনি??
ছেলেটি নিজের মাথা চুলকে বললো.......মনিকা কোথায়?
মনি তো ওর হবু বরের সাথে কথা বলছে। ডেকে দিবো?
নাহ থাক এখন ওকে ডিস্টার্ব না করাই ভালো। আপনি মনিকার বেস্ট ফ্রেন্ড তাইনা?
হ্যা। আর কিছু বলবেন আপনি?
আপনার নামটা জানতে পারি?
আমার নাম আরিশা তাসনীম। আপনি এখন আসতে পারেন বাই। বলেই আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। এ ছেলের সাথে কথা বলার কোনো ইচ্ছে নেই আমার।
আজ মনিকার বিয়ে বাড়ি ভর্তি লোকজন। পার্লার থেকে লোক এসেছে মনিকাকে সাজাতে। আমার পার্লার এর সাজ তেমন পছন্দ নয় তাই একাই হালকা সেজেছি। আমার আর অথই এর সেম ড্রেস শুধু কালারটা ভিন্ন। আমি পড়েছি ব্লু কালারের উপর ব্ল্যাক স্টোনে কাজ করা গাউন আর অথই পড়েছে মেরুন কালার। মনিকার সাজানো এখনো হয়নি। আমি অথইকে নিয়ে বাড়ির বাইরে এলাম। আদ্র আর নিশা আপু আসছে ওদের জন্য ওয়েট করছি। পেছন থেকে কেউ বললো.......
হাই আরিশা।
আমি পেছনে ঘুরে কাল রাতের সে ছেলেটিকে দেখতে পেলাম। বিরক্তির স্বরে বললাম......কি চাই?
আপনার সাথে কথা বলতে চাই। বাহ,আপনাকে তো খুব সুন্দর লাগছে। ও কে?অথইকে দেখিয়ে।
ও আমার বো.....
আমি বোন বলার আগেই অথই বলে উঠলো........এটা আমার ভাবি আর আমি ওর একমাত্র ননদ।
অথই এর কথা শুনে আমি যতটা না অবাক হয়েছি তার থেকে বেশি খুশি হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এ কথাটাই বলা ঠিক হয়েছে। ছেলেটি ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে মুখের আভাটাও পুরো অন্য রকম হয়ে গিয়েছে। বিষ্ময় কাটিয়ে বললো........
আপনি বিবাহিত! কই আপনাকে দেখে তো তা মনে হয় না।
আমি যে বিবাহিত সেটা কি গায়ে লিখে বেড়াতে হবে? ও তো বললোই আমি ওর ভাবি হই তারপরেও বিশ্বাস হচ্ছে না আপনার?
ছাড়ো তো ভাবি ভাইয়া তো একটু পরে আসবেই তখন নিজের চোখে দেখে উনি বিশ্বাস করবেন। তাইনা ভাইয়া?
ছেলেটি আর কিছু বললো না মুখটা কালো করে চলে গেলো সেখান থেকে। আমি আর অথই উচ্চস্বরে হেসে উঠলাম।
কি ব্যাপার এতো হাসি কিসের?
আমরা হাসি থামিয়ে পাশে তাকাতেই আদ্র আর নিশা আপুকে দেখতে পেলাম। আদ্র মুচকি হেসে আবারো বললো.......
হাসছিস কেনো এখানে দাড়িয়ে?
ভাইয়া হয়েছে কি......
আমি অথই এর মুখ চেপে ধরলাম। এখন যদি আদ্রকে ছেলেটির ব্যাপারে বলা হয় তাহলে উনি রেগে যেতে পারে। তাই কথা ঘুরিয়ে বললাম.......
তেমন কিছু নয় এমনিতেই হাসছি। এতো দেরি হলো কেনো তোমাদের,মা কাকিমা এলো না কেনো?
কোথায় দেরি হয়েছে তাড়াতাড়ি তো এসেছি। আর মায়ের ভালো লাগছিলো না আসবে না বলেছে তাই ছোট কাকিমা ও এলো না।
ওহ ঠিকআছে ভেতরে চলো। নিশা আপু এসো।
আমি নিশা আপু অথই আগে হাটছি আদ্র আমাদের পেছনে। ওড়নায় টান পড়ায় ঘুরে তাকালাম। আদ্র ওড়নার এক পাশে ধরেছে চোখের ইশারায় বলছে পেছনে হাটতে।
আমি আদ্র পাশাপাশি হাটছি। উনি আস্তে করে বললো......
আরু এতো সেজেছিস কেনো তুই?
কোথায় এতো সেজেছি?কেনো দেখতে খারাপ লাগছে?
না ম্যাম অনেক বেশি সুন্দর লাগছে আপনাকে। আমার তো ইচ্ছে করছে তোকে সামনে বসিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। এই আরু কোনো ছেলে নজর দেয় নি তো তোর দিকে?
আমি মটেও তেমন সুন্দরী নই যে ছেলেরা নজর দেবে।
কে বলেছে আমার আরু সুন্দরী না। আমার চোখে সে সব থেকে বেশি সুন্দরী। যার রুপে আমি মুগ্ধ হই। যার চোখের দিকে তাকালে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি। যার মায়াতে আমি গভীর ভাবে বাধা পড়ে গিয়েছি সে সুন্দরী রমণীটা আর কেউ নয় আমার আরু।
হয়েছে চলো এখন।
.
.
মনিকাকে একটু আগে শশুর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে। মনিকা নেই আমি আর থেকে কি করবো তাছাড়া আদ্র রেখে যাবে না। মনিকার মা ওর বোন বারবার বলেছে থাকতে কিন্তু আমার থাকা সম্ভব নয়। রাত হয়ে গিয়েছে অথইকে নিয়ে আদ্র বাইরে অপেক্ষা করছে।নিশা আপু আমার সাথে আমি রেডি হয়ে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে এলাম। আদ্রদের কাছে এসে দাড়াতেই ওই ছেলেটি সামনে এসে দাড়ালো। আমাক দিকে তাকিয়ে বললো.......
এটাই আপনার হাজবেন্ড?
ছেলেটি যে এমন একটা প্রশ্ন করবে ভাবতেও পারি নি। আদ্র ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে অথই হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আর নিশা আপু পুরোই সন্দেহের দৃষ্টিতে একবার আমাকে দেখছে আবার আদ্রকে দেখছে। আমি কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না। ছেলেটি উত্তরের আশায় এখনো আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। হঠাৎ আদ্র বলে উঠলো......
হ্যা আমি ওর হাজবেন্ড। এনি প্রবলেম?
নো,ইট'স ওকে। জাস্ট সিওর হলাম।
ছেলেটি চলে গেলো সেখান থেকে। নিশা আপু আদ্রকে বললো......
আদ্র এটা কি বললি তুই! নিজেকে আরিশার হাজবেন্ড বললি কেনো?
নিশা আমার মনে হয়েছে এটা বলা দরকার ছিলো তাই বলেছি।
নিশা আপু আর কিছু বললো না মুখটা কালো করে গাড়ির দিকে চলে গেলো। আদ্র আমার দিকে তাকিয়ে বললো.......
আসল ব্যাপারটা কি বলতো ছেলেটি কে,আমি তোর হাজবেন্ড কিনা কেনো জানতে চাইলো?
আমি কিছু বলার আগে অথই সব বলে দিলো।
আদ্র সব শুনে হো হা করে হেসে উঠলো। আমি তো ভেবেছি উনি রাগ করবেন কিন্তু না উনি হাসছেন! হাসতে হাসতে অথইকে একহাতে জড়িয়ে বললো......
এই না হলো আমার বোন। অথই তুই ঠিক জায়গায় ঠিক কথা বলেছিস। তার জন্য তোকে কি দেওয়া যায় বলতো?
উমম বেশি কিছু নয়, দুই বক্স চকলেট দিলেই চলবে।
ওকে আমার সুইট বোনটি কালই পেয়ে যাবি। তবে তোর ভাবিকে কিন্তু একটুও দিবি না। তোর যে টুকু বুদ্ধি আছে ওর সেটুকুও নেই। বেশি বেশি চকলেট খেয়ে ওর বুদ্ধিটা আরো কমে এসেছে।
আমি মুখ ফুলিয়ে বললাম.......তোমাদের চকলেট আমি খেতে চাইনি হুহ।
.
.
আমার একটা বদ অভ্যাস আছে রাতে কানে ইয়ার ফোন গুজে গান না শুনলে আমর ঘুম আসে না। মনিকাদের বাড়ি থেকে আসার সময় আমার ফোনটা আদ্র নিয়েছিলো আর নেওয়া হয় নি। এখন তো আনতেই হবে না হলে গান শুনবো কিসে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ১০:১৫ বাজে নিশা আপু এখনো রুমে আসে নি। মনিকাদের বাড়ি থেকে আসার পর একটিও কথা বলেনি আমার সাথে। ড্রয়িংরুমে কেমন যেনো গম্ভীর হয়ে বসে ছিলো ডিনার ও করেনি। কি হলো হঠাৎ নিশা আপুর? রুমে আসলেই জেনে নিবো আগে ফোনটা নিয়ে আসি।
ওদিকে আদ্র নিজের রুমে বসে ল্যাপটপে সাদাফের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে।
আদ্র তোর আরু কেমন আছে? মনের কথা তো বলেই দিয়েছিস তো বিয়ে করছিস কবে ওকে?
বাবা চাচ্চুর সাথে কথা বলবে বলেছে দেখি কি হয় আগে।
তোর চাচ্চু যদি মেনে না নেয়?
মেনে তো নিতেই হবে। আমি যেমন আরুকে ছেড়ে থাকতে পারবো না আরুও পারবে না আমি জানি। চাচ্চু আরুকে খুব ভালোবাসে ওর খারাপ নিশ্চই চাইবে না।
ওদের কথা বলার মধ্যেই নিশা এসে আদ্রর ল্যাপটপটা বন্ধ করে দিলো।
আদ্র উঠে দাড়িয়ে নিশার দিকে তাকিয়ে বললো.....নিশা তুই ল্যাপটপ অফ করলি কেনো?
আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই অফ করেছি।
আজব তো! তোর ইচ্ছে আমার কাজের মধ্যে নাকি! আর কারো রুমে আসতে হলে দরজায় নক করতে হয় জানিস না?
তার রুমে আসতেই নক করতে হয় যাকে পর ভাবা হয়। বাট আমি তো তোকে পর ভাবি না এ জন্য নক করার কোনো প্রয়োজন মনে করিনি।
নিশার তাকানো কথা বলা আদ্রর চোখে আজ অন্য রকম লাগছে। আদ্র নিশাকে বললো......কি দরকারে এসেছিস সেটা বল?
আদ্র তুই আরিশাকে ভালোবাসিস?
আদ্র নিশার কথায় কিছু মনে করলো না স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিলো.......হ্যা আরুকে আমি ভালোবাসি,অনেক ভালোবাসি।
নিশা কয়েক সেকেন্ড থম মেরে আদ্রর দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠলো........আদ্র আমি তোকে ভালোবাসি সেই ছোট থেকে ভালোবেসেছি তোকে। প্লিজ আদ্র আমাকে ফিরিয়ে দিস না।
আদ্র অবাক হয়ে নিশার দিকে তাকালো.......নিশা তোর মাথা ঠিক আছে! এসব কি বলছিস তুই!
আমার মাথা একদম ঠিক আছে,আদ্র আমি সত্যি তোকে অনেক ভালোবাসি।
দেখ নিশা তোকে আমার বোন ছাড়া অন্য কিছু কখনো ভাবি নি। তাছাড়া আমি আরিশাকে ভালোবাসি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি ওকে আমি।
নিশার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো। আদ্রর বিরক্ত লাগছে নিশাকে এখন। রেগে বললো......নিশা তোকে এই মুহুর্তে আমার বিরক্ত লাগছে। আর এই ন্যাকা কান্না বন্ধ কর।
আদ্র অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে দাড়িয়ে আছে নিশা হুট করে আদ্রকে জড়িয়ে ধরলো। আদ্র শকড নিশা হঠাৎ এভাবে জড়িয়ে ধরায়। নিশা কাঁদতে কাঁদতে বললো.......
আদ্র আমার খুব কষ্ট হচ্ছে প্লিজ আমাকে দূরে ঢেলে দিস না।
দরজার দিকে কিছুর আওয়াজ পেয়ে আদ্র তাকালো সেদিকে। আরু দরজায় নিজের হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে দাড়িয়ে আছে। আরুর চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। আরু ওখানে আর না দাড়িয়ে চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলো।
আদ্রর বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠলো। নিশাকে ছাড়িয়ে ওর গালে জোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো। রাগে ওর চোখ থেকে আগুন বেড় হচ্ছে। কপালের রগ ফুলে উঠেছে। নিশাকে আরো একটা চড় মারলো আদ্র। নিশা নিজেকে সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে গেলো। ছলছল চোখে আদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো.........
আদ্র তুই আমাকে মারলি!
হ্যা মারলাম। তোর কারনে যদি আমার আরু আমাকে আজ ভুল বোঝে তাহলে তোকে খুন করে ফেলবো আমি। কোন সাহসে তুই জড়িয়ে ধরলি আমায়? এ বুকে শুধু মাত্র আরুর জায়গা শুনেছিস তুই? তোর গায়ে হাত তুলার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে ছিলো না আমার। কিন্তু তুই আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ধৈর্যর বাধ ভেঙে দিয়েছিস। আমার আরুর চোখে পানি এনেছিস। ওর একটু খানি কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না সেখানে ও আজ তোকে আমার বুকে দেখে চোখের পানি ফেলছে শুধু মাত্র তোর কারনে।
আদ্র আর কিছু না বলে হনহন করে বেড়িয়ে গেলো। নিশা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। শব্দহীন কেঁদে চলেছে।
No comments