তোকে_অনেক_ভালোবাসি-------পর্ব_১০
আদ্র ভাইয়ার সামনের চুপচাপ বসে আছি আর উনি এটা ওটা বলে আমাকে বকেই চলেছে। আমাকে কিছু বলার সুযোগ উনি দিচ্ছে না। আমারো রাগ হচ্ছিলো উঠে চলে আসতে নিলে উনি ধমক দিয়ে বললো
আরু চুপচাপ বস এখানে,তোকে কোথাও যেতে বলেছি আমি? ওই ছেলেটার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছিলো বুঝি? এখন আমার কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগছে?
আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না,ধৈর্যর ও একটা সীমা থাকে,সব কিছু ভালো ভাবে না শুনে উনি আমাকে যা নয় তাই বলে যাবেন! আমি উনার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম
ভাইয়া তোমার প্রবলেমটা কি বলবে আমাকে? সব কিছু ভালো ভাবে না জেনে কেনো আমার ঘাড়েই দোষ চাপাও,একটা বার কি জানতে চেয়েছো ওই ছেলেটাকে আমি চিনি নাকি। সব সময় নিজে যেটা মনে করো সেটাই হবে তাইনা। আরে ওই ছেলেটাকে তো আমি বার বার বলছি চলে যেতে আমি তো যেচে কথা বলতে যাইনি। আমার কথা যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে যাও ওই ছেলের কাছেই শুনে দেখো।
আমি আর এক মুহুর্ত না দাড়িয়ে চলে এলাম।
আদ্র আরুর যাওয়ার দিকে চেয়ে থেকে নিজেই নিজের মাথার চুল টেনে বলতে লাগলো....উফ আমি আবারো আরুকে ভুল বুঝলাম। সত্যিই তো ওর কোনো কথা না শুনে ওকে এতো কথা শোনানো মটেও উচিৎ হয় নি আমার। কিন্তু কি করবো ওকে যে কোনো ছেলের সাথে দেখলেই আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। আরু নিশ্চই খুব মন খারাপ করেছে আগে গিয়ে ওকে ঠিক করি তারপর ওই ছেলেটাকে দেখবো।
.
.
বাড়িতে এসে দরজা লক করে বসে আছি,মা,কাকিমা কয়েকবার খাওয়ার জন্য ডেকেছে আমি খাবো না বলে দিয়েছি। রাগ কিছুতেই কমছে না আমার ইচ্ছে করছে ওই হনুমানটাকে পঁচা পানিতে চুবাতে। বদ লোক একটা আমাকে কখনোই বুঝে না। আবার ভালোবাসা দেখাতে আসে হুহ।
ওয়াশরুমে এসে প্রায় দু ঘন্টা ভিজছি। শরীরটা কেমন যেনো ভারী ভারী লাগছে হাত পা কেমন যেনো কুঁচকে গেছে হয়তো অনেক সময় ধরে ভেজার কারনে এমনটা হয়েছে। আমি আস্তে আস্তে ড্রেস পাল্টে ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে এলাম। সকালে তেমন কিছু খাইনি দুপুরেও খাই নি তারপর এত সময় ধরে ভিজে শরীর দুর্বল লাগছে। বেডে এসে গা এলিয়ে দিলাম চুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে তাই চুল গুলো বালিশের উপর দিয়ে মেলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলাম।
এভাবে কতোক্ষণ ছিলাম জানি না,মা আর কাকিমা জোরে জোরে দরজা ধাক্কাচ্ছে আর ডেকে চলেছে। আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলাম রুমটা অন্ধকার হয়ে আছে জানালার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম সন্ধা হয়ে এসেছে। আমি উঠতে চেয়েও পারছি নয় মাথা ব্যাথা করছে,শরীরে অনেক তাপ অনুভব করছি। আমি কোনো ভাবে উঠে দরজাটা খুলে দরজায় ভর দিয়ে দাড়ালাম। সামনে মা কাকিমা দাড়িয়ে আছে আর ওদের পেছনে আদ্র ভাইয়া।
মা বলে উঠলো....আরিশা কি হয়েছে তোর সেই দুপুরে এসে দরজা আটকেছিস,তোর চোখ মুখ এমন ফ্যাকাসে লাগছে কেনো? শরীর খারাপ লাগছে?
পাশে থেকে কাকিমা অস্থির গলায় বললো....আরিশা তুই ঠিক আছিস?
আমি কাপা কাপা গলায় বললাম....হুম আমি ঠিকআছি।
মা এগিয়ে এসে আমার কপালে হাত দিয়ে চমকে উঠে বললো...আরিশা তোর গায়ে তো খুব জ্বর!আর তুই বলছিস ঠিকআছি!
কাকিমা ও এগিয়ে এসে কপালে হাত দিলো আদ্র ভাইয়া এতোক্ষণ চুপ ছিলো আমার জ্বরের কথা শুনে আমার কাছে এসে বললো
আরু তুই আজও অনেকক্ষণ ধরে ভিজেছিস তাইনা!
আমি উনার দিকে না তাকিয়ে বেডের দিকে যেতে নিলে মাথাটা ঘুরে উঠলো,চারপাশে সব ঝাপসা হয়ে এলো,পড়ে যেতে নিলে আদ্র ভাইয়া আরু বলে চিৎকার করে উঠলো। তারপর কি হয়েছে মনে নেই।
.
.
চোখ খুলে নিজেকে বেডে আবিষ্কার করলাম। বুঝতে পারছি আমার হাতটা কেউ শক্ত করে ধরে আছে। পাশে তাকাতেই আমি চমকে উঠলাম আদ্র ভাইয়াকে দেখে! উনার চোখ ফুলে আছে চুলগুলো কেমন এলোমেলো,সকালে যে শার্ট গায়ে ছিলো ওটাই পড়ে আছে এখনো! আমার হাতটা উনি আরো শক্ত করে ধরে নরম স্বরে বললো
আরু এখন কেমন ফিল করছিস? মাথা ব্যাথা আছে এখন?
আমি অবাক চোখে উনার দিকে তাকিয়ে মাথা ঝাকিয়ে বললাম...এখন ঠিকআছি।
আরু এতো রাগ তোর আমার উপর! আমি না হয় ভুল করে তোকে কথা শুনিয়েছি। তার জন্য তুই নিজেকে কষ্ট দিবি! সারাদিন না খেয়ে আছিস এমনিতেই দুর্বল ছিলি তার উপর ভিজে জ্বর বাধিয়ে নিয়েছিস।সেই সন্ধা থেকে সেন্সলেস হয়ে ছিলি এখন রাত ১১ টা বাজে জানিস কতো কষ্ট হয়েছে আমার। এমনকি বাড়ির সকলে কতো দুশ্চিন্তা করছে তোর জন্য।বাবা চাচ্চু এখনো না খেয়ে বসে আছে। ছোট কাকিমা এখানের ছিলো একটু আগে তোর জন্য খাবার রেডি করতে পাঠিয়েছি।
আমি এক দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি কি বলবো বুঝতে পারছি না। উনাকে এভাবে দেখে সব রাগ নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো।আমি উঠে বসতে নিলে আদ্র ভাইয়া আমার হাত ধরে বসিয়ে দিলো। তারপর আমার কপালে হাত দিয়ে বললো
জ্বর এখনো আছে দেখছি।
আমি উনার দিকে তাকিয়ে বললাম....আপনার চোখ ফুলে লাল হয়ে আছে কেনো?
আমার কথা ছাড় তো। তোর কি মাথা ব্যাথা করছে?
উনি কথা ঘুরাতে চাইছে তাই আমি আর কিছু বললাম না। শুধু মাথা এদিক ওদিকে নাড়ালাম,মানে মাথা ব্যাথা নেই।
মা সুপ ডিম দুধ নিয়ে রুমে এসে বললো....আরিশা মা এখন কেমন আছিস?
মায়ের দিকে তাকিয়ে আমার বুকটা কেপে উঠলো,মায়ের মুখটাও শুকিয়ে গেছে। এখন আমার আরো বেশি খারাপ লাগছে নিজে জেদ করে বাড়ির সবাইকে কষ্ট দিলাম আমি। আমি একটু হেসে বললাম
হ্যা মা ভালো আছি এখন।
একটু পরে কাকিমা এলো মা আর কাকিমা মিলে আমাকে জোর করে সুপটা খাওয়ালো। কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিলো না। আর খেতে পারবো না বলতেই আদ্র ভাইয়া বললো
আরু তোকে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে তো জলদি খেয়ে নে ওষুধ খেতে হবে।
আমি মলিন মুখে বললাম তোমরা কি চাইছো আমি যেটুকু খেয়েছি সেটুকু পেট থেকে বেড়িয়ে আসুক?
কাকিমা বললো....আচ্ছা আর খেতে হবে না আদ্র ওষুধ গুলো দেখে খাইয়ে দে ওকে।
আদ্র ভাইয়া ওষুধ খাইয়ে দিলো আমাকে। আব্বু আর চাচ্চু ও এসে দেখে গিয়েছে। মা আমার পাশে থাকতে চেয়েছিলো জোর করে রুমে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এই আদ্রকে কিছুতেই সরাতে পারছি না উনার একটা কথা যতোক্ষণ আমি ক্ষমা না করবো উনি এখানে আমার পাশেই বসে থাকবে। আমি এখন কি করে বলি ক্ষমা তো দুরে থাক উনার উপর আর একটুও রেগে নেই আমি। কিন্তু এখন তো বলতেই হবে....
ভাইয়া তুমি যাও আমি রেগে নেই তোমার উপর।
সত্যি বলছিস তুই? আমাকে ক্ষমা করেছিস?
উফ ভাইয়া ক্ষমার কথা কেনো আসছে আমি বললাম তো রেগে নেই আমি।
উনি হেসে বললো...আচ্ছা ঠিকআছে আমি যাচ্ছি।
আদ্র ভাইয়া উঠে দাড়িয়ে হুট করে নিজের মুখটা আমার দিকে এগিয়ে এনে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে মুচকি হেসে বেড়িয়ে গেলো। হঠাৎ করে উনি এ কাজ করায় আমি এখনো হা করে সামনে তাকিয়ে আছি।
.
.
চারদিন পর আজ কলেজে এসেছি। এই চারদিনে আদ্র ভাইয়া আমার আশে পাশেই থেকেছে। বেশি বিরক্ত হতাম খাবার সময় হলে কিছুতেই খেতে ইচ্ছে করতো না।কিন্তু খাবার সময়ে আদ্র ভাইয়া যেখানেই থাকুক না কেনো আমার সামনে হাজির হতো আর সব খাবার খাইয়ে ছাড়তো।
কলেজ গেট দিয়ে ঢুকছি আমার পেছনে আদ্র ভাইয়া। এ কদিনে যেনো আঠার মতো লেগে আছে আমার সাথে। হঠাৎ সাইফ নামের সেই ছেলেটা আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি ওকে দেখে আগে আদ্র ভাইয়ার দিকে তাকালাম কিন্তু উনার চোখের চাহনিটা একদমই শান্ত! এক পকেটে হাত দিয়ে আর এক হাতে নিজের চুল ঠিক করতে ব্যাস্ত সে!!সাইফ ভীত চোখে আদ্র ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আমার সামনে মাথা নিচু করে বললো
আসসালামুয়ালাইকুম ভাবি। কেমন আছেন??
আমার চোখ দুটো বেড়িয়ে আসার উপক্রম হয়েছে এ ছেলে ভাবি বলছে কেনো আমাকে!! আদ্র ভাইয়া ও কিছুই বলছে না!! নিজেকে সামলে বললাম
ওয়ালাইকুমআসসালাম। আমি ভালো আছি। আপনি আমাকে ভাবি কেনো বলছেন,আপনার কোন ভাইয়ের বউ আমি??
কেনো আপনার পেছনে যে......
সাইফ আমার পেছনে তাকিয়েই চুপ হয়ে গেলো
কি হলে বলুন??
আপনি আমার ভাবি হন এটাই জানি আর কিছু বলতে পারবো না। আর সেদিনের জন্য আমি দুঃখিত আমাকে মাফ করে দিবেন। আসি ভাবি।
সাইফ আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেলো। আমি পেছনে ঘুরে আদ্র ভাইয়ার দিকে তাকালাম উনি মিটমিট করে হাসছে।
ভাইয়া তুমি হাসছো কেনো??
আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই হাসছি।
সেদিন তো আমাকে এই ছেলেটার জন্য এত্তোগুলো কথা শুনালে,আর আজ এই ছেলে তোমার সামনে আমাকে ভাবি বললো তুমি কিছু বললে না কেনো??
আমি কি বলবো। ওর কোনো ভাইয়ের জন্য হয়তো তোকে পছন্দ করেছে তাই ভাবি বলেছে। এতে প্রবলেম কোথায়।
আজব তো! কোথাকার কে এসে আমাকে ভাবি বলবে আর তুমি কিছুই বলবে না??
আমি আর কিছু বলবো না। এমনিতেই আমি বকেছি বলে রেগে জ্বর বাধিয়ে চারদিন সবাইকে খাটিয়েছিস বিশেষ করে আমাকে। আমি বাবা আর খাটতে পারবো না। তাই ভেবে নিয়েছি তোকে আর কিছু বলবো না।
আমি আমাকে কিছু বলার কথা বলিনি বলেছি ওই ছেলেটাকে বলো। ও কেনো ভাবি বললো আমাকে।
ওই একি হলো,আমি পারবো না কিছু বলতে। যা ক্লাসে যা এখন।
আদ্র ভাইয়া বাকা হেসে উনাদের ডিপার্টমেন্ট এর দিকে চলে গেলো। আর আমি বোকার মতো উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি,কি যে হচ্ছে সবটাই আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। সাইফ আমাকে ভাবি বললো আদ্র ভাইয়া এতে কোনো রিয়েক্টই করলো না!!
.
.
ক্লাস শেষ করে মনিকাকে সাথে নিয়ে ওই ছেলেটা মানে সাইফকে খুজতে লাগলাম। কোথাও দেখছি না ওকে। একটু পরে আদ্র ভাইয়া এসে আমাদের সামনে দাড়ালো
ভ্রু কুঁচকে বললো
প্রবলেম কি? কলেজের মধ্যে এদিক ওদিকে ঘুরপাক খাচ্ছিস কেনো??
কোনো প্রবলেম নেই আর যদি থাকে সেটা আমি নিজেই বুঝে নিবো,তুমি যাও।
আমি যাবো মানে! কোথাও যাবো না আমি, কাকে খুজছিস বল? থাক তোকে বলতে হবে না। মনিকা তুমি বলো তো এই পাগলি কাকে খুজছে?
ভাইয়া আরু সাইফ নামের একটা ছেলেকে খুজছে।
মনিকার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বললাম....ওই হারামি তোকে বলতে বলেছি আমি?
তুই বলতে বলবি কেনো ভাইয়া জানতে চেয়েছে আর আমি বলবো না!
তোকে আমি পরে দেখে নিবো আগে ওই ছেলেকে খুজি চল আমার সাথে।
আদ্র ভাইয়া সামনে দাড়িয়ে বললো
এই এই দাড়া,আরু তুই দেখছি নিজের হবু বরকে দেখার জন্য উতলা হয়ে উঠেছিস!! এতো তাড়া কেনো হুম পরে দেখলে কি তাকে আর পাবি না??
মানে! কি বলছো তুমি! কে হবু বর কাকে দেখার জন্য উতলা হয়েছি??
সাইফ সকালে তোকে ভাবি বলেছে,হয়তো ওর কোনো ভাইয়ের হবু বউ তুই। আর কে সেই ছেলে মানে তোর হবু বর কে তার সন্ধান পাওয়ার জন্য সাইফকে খুজছিস তুই তাইনা।
একদম ফালতু কথা বলবে না। চিনি না জানি না তাকে হবু বর বলছে। মনি চল তো।
আদ্র ভাইয়া শব্দ করে হেসে উঠলো আমি মনিকার হাত ধরে চলে এলাম সেখান থেকে।
আরু একটা কথা বলবো?
একটা নয় অনেক গুলো বল।
বলছি কি ওই ছেলে মানে সাইফ কোনো ভাবে আদ্র ভাইয়ার দিক থেকে তোকে ভাবি বলেছে মনে হচ্ছে।
ওর কথা শুনে দাড়িয়ে পড়লাম.....কি বলছিস মনি,সাইফ আদ্র ভাইয়ার কথা কেনো বলবে?
দেখ আমার যা মনে হলো সেটাই বললাম। সাইফ সেদিন অন্যভাবে কথা বলেছে তোর সাথে। আর আজ সোজা ভাবি বলে তোর সাথে সন্মান দিয়ে কথা বলেছে, আবার সেদিনের জন্য মাফ ও চেয়েছে। সবটাই তো আদ্র ভাইয়া শুনেছে তাইনা?
হুম উনি আমার সাথেই ছিলো তখন।
তাহলে আসল ব্যাপারটা হলো আদ্র ভাইয়া ওই ছেলেকে আগেই যা বুঝানোর বুঝিয়েছে আর তোকে ভাবি বলে ডাকতে বলেছে।
মনি তুই সিওর হচ্ছিস কি করে সাইফ আদ্র ভাইয়ার দিক থেকে আমাকে ভাবি বলেছে?
আরে গাধী,সাইফ তোকে ভাবি বলেছে শুনে আদ্র ভাইয়া ওকে কিছু বলেনি তাতে বোঝা যায় এর পেছনে আদ্র ভাইয়া আছে।
মনিকার বলা কথাগুলো শুনে আমার ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো,মনিকা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বললো
সারাজীবন না বুঝে এমন বোকা হয়ে থাকিস না,পড়াশোনায় তো একদম পার্ফেক্ট আছিস। তাহলে বুদ্ধিতে কম কেনো? আল্লাহ জানে আদ্র ভাইয়া আমার এই গাধী বেস্টুটাকে কিভাবে সামলাবে!
No comments