ভালোবাসায়_বেধে_রেখো💞 পর্বঃ০৯
সকালে....
তাহমিরা নাস্তা খেয়ে ভার্সিটির জন্য বেরিয়ে গেলো।ক্লাসে ঢুকতেই তারিন এসে বলল
"তোমার কি ত্রিশাদের সাথে রিলেশন আছে?"
"আমি তোমাকে বলতে বাধ্য নই।"
"বলতে হবে।বলো?"
"না বলবো না।"
তারপর তারিন যেটা করে সেটা তাহমিরার মাথায় বিন্দু পরিমাণ ও আসে নি।ও একটা বেঞ্চে বাড়ি দিয়ে রসিয়ে রসিয়ে বলে
"গাইস!!শোন আমাদের তাহমিরা প্রেম করছে।তাও আবার কার সাথে জানো আমার এক্সের সাথে যে কি না প্রতিবন্ধী।"
এটা বলেই হাসা শুরু করলো আর তাহমিরা রাগে টেনে একটা থাপ্পড় মারলো তারিনকে।ওর কেনো যেনো প্রতিবন্ধী শব্দটা পছন্দ নয়।আর ত্রিশাদকে কেউ প্রতিবন্ধী বললে ওর পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়।তাহমিরা এক থাপ্পড়ে পুরো ক্লাস চুপ।তারপর তাহমিরা বলতে শুরু করে
"হ্যা ভালোবাসি ত্রিশাদকে কিন্তু ও ভালোবাসে তোমাকে তারিন।এখনো ভালোবাসে।ভাবতে পারছো এতো অপমানের পরেই তোমাকে ভালোবাসে।আর কি যেনো বলছিলে প্রতিবন্ধী তাই না?তুমি তো জানোই আমাদের ভাগ্য আল্লাহর হাতে।কার কখন কি হবে কেউ জানে না।ভাবো তো তোমার যদি ত্রিশাদের মতো অবস্থা হয় আর তখন যদি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লোকেরা তোমাকে দেখে বলে ওই দেখ প্রতিবন্ধী যাচ্ছে। তখন তোমার কেমন লাগবে বলো?নিশ্চয়ই খারাপ লাগবে।তেমনই ত্রিশাদের ও খারাপ লাগে কিন্তু তোমায় ভালোবাসে বলে কিছুই বলে না।কিন্তু আমি চুপ থাকবো না আমার ত্রিশাদকে নিয়ে যদি আর কোনোদিন কেউ বাজে কথা বলে ওইদিনই তার শেষ দিন।মনে থাকে যেনো।"
এটা বলেই রাগে গটগট করতে করতে বেরিয়ে গেলো ভার্সিটি থেকে। তারপর রাস্তায় এসে ত্রিশাদকে ফোন দিয়ে বলল
"হ্যালো ত্রিশাদ তুমি কোথায়?"
"বাসায় আছি।"
"ও আচ্ছা থাকো আমি আসছি।"
"আচ্ছা আসো।"
তাহমিরা ত্রিশাদকে নদীর পাড়ে নিয়ে যায় তারপর চুপচাপ বসে থাকে। তাহমিরার নিরবতা দেখে ত্রিশাদ ই বলা শুরু করলো
"তাহমিরা তোমার কি মন খারাপ?"
তাহমিরা নিজেকে সামলে বলল
"নাহ,তেমন কিছু না।"
"কিন্তু আমার তেমন কিছুই মনে হচ্ছে। "
তাহমিরা কথা বলল
"ত্রিশাদ ফুচকা খাবে?"
"আচ্ছা চলো।"
তারপর ওরা ফুচকার দোকানে যায়।ত্রিশাদের জন্য আর নিজের জন্য ও ফুচকা কিনে। কেনো যেনো আজকাল ফুচকাও তাহমিরার ভাল্লাগছে। বোধহয় প্রেমে পড়লে এমনই হয়।ফুচকা খাওয়া শেষে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ওরা আবারও নদীর ধারে এসে বসলো।তারপর তাহমিরা ত্রিশাদকে বলল
"তুমি কবিতা আবৃত্তি পারো?"
"হ্যাঁ, পারি। "
"একটা শোনাবে?"
"আচ্ছা।
"সুরঞ্জনা, ওইখানে যেওনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা:
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে;
ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার;
দূর থেকে দূরে— আরো দূরে
যুবকের সাথে তুমি যেওনাকো আর।
কি কথা তাহার সাথে? তার সাথে!
আকাশের আড়ালে আকাশে
মৃত্তিকার মতো তুমি আজ:
তার প্রেম ঘাস হ’য়ে অাসে।
সুরঞ্জনা,
তোমার হৃদয় অাজ ঘাস:
বাতাসের ওপারে বাতাস—
আকাশের ওপারে আকাশ।"
-----(জীবনানন্দ দাশ)
তাহমিরা মুচকি হেসে মনে মনে বলল
'তোমার সুরঞ্জনা তোমারই থাকবে।'কিন্তু মুখে বলল
"বাহ!!খুব সুন্দর আবৃত্তি করতে পারো।"
"আচ্ছা তাহমিরা তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?"
এই কথা শুনে তাহমিরার বুকের মধ্যে ধক করে উঠলো।সাথে সাথেই নিজেকে সামলে বলল
"হ্যা, বাসি।খুব ভালোবাসি।"
"আচ্ছা তবে তার জন্য একটা গান গাও।"
তাহমিরা হেসে বলল
"আচ্ছা।
..................
আমি ডানা ছাড়া পাখি,
তোমার আশায় আশায় থাকি
আমি পটে আঁকা ছবি প্রেম, তুমি ভালোবাসায় সবই
তুমি ছুঁয়ে দিলে মন, আমি উড়ব আজীবন ।।
তুমি আকাশের ওই নীল,
আমি মেঘে মেঘে স্বপ্নিল
তুমি হাওয়া হয়ে আসো, শুধু আমাকেই ভালোবেসো
তুমি মনের আল্পনা, তুমি সেই প্রিয় কল্পনা
তুমি ছুঁয়ে দিলে মন, আমি উড়ব আজীবন ।।
যেন ছায়া হয়ে আছি,
যেন তোমায় নিয়ে বাঁচি
তুমি আমার সুখ পাখি, বলো কোথায় তোমায় রাখি
তুমি রাত দিনোমান, আমি ডুবে থাকি সারাটাক্ষণ
তুমি ছুঁয়ে দিলে মন, আমি উড়ব আজীবন ।।
ত্রিশাদ হেসে বলল
" অনেক ভালো গাও তুমি।তোমার উনি অনেক ভাগ্যবান।"
তাহমিরা হাসলো শুধু কিছু বলল না।তারপর ত্রিশাদের হাতে কালকে রাতের লেখা চিঠিটা গুজে দিয়ে বলল
"ত্রিশাদ এই চিঠিটা তোমাকে দিলাম।"
"কি লেখা আছে এতে?"
"বলে দিলেতো মুখেই বলতে পারতাম চিঠিতে লিখলাম কেনো?তোমার যখন চোখ ভালো হবে তখন এটা পড়ে নিও।"
"আচ্ছা। এবার চলো উঠি।"
রাত ৯.০০ টা....
সেই কখন থেকে ত্রিশাদ ইশিতাকে দিয়ে তাহমিরাকে ফোন করছে।কিন্তু ওর ফোন বন্ধ বলছে।ত্রিশাদ ভিষণ খুশি কারণ ওর জন্য চোখ পাওয়া গেছে আরও আবার দেখতে পাবে।কালকেই অপারেশনের ডেট।তাই তাহমিরাকে খবরটা জানানোর জন্য ফোন দিচ্ছে কিন্তু ওর ফোন বন্ধ। ত্রিশাদ ভেবেছে হয়তো ফোনে চার্জ নেই তাই ফোন বন্ধ। থাক পরে বলবে এই জন্যে ত্রিশাদ ফোন রেখে দেয়।
পরেরদিন সকালেও হাসপাতাল যাওয়ার আগে তাহমিরাকে বহু বার ফোন দিয়েছে কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে।ত্রিশাদের এখন একটু চিন্তা হচ্ছে যাইহোক ও হাসপাতালে গেলো।
আজ বিকেল পাঁচটায় ত্রিশাদের অপারেশনের সময়। ত্রিশাদ পাঁচটা পর্যন্ত অনেকবার চেষ্টা করেছে কিন্তু কোনে লাভ হয় নি।
বিকেল পাঁচটায় ত্রিশাদের অপারেশন শুরু হয়ে যায়।
একসপ্তাহ পর...
আজ ত্রিশাদের চোখের বেন্ডেজ খুলবে।সবার খুব খুশী লাগছে ত্রিশাদ আবার দেখতে পাবে বলে।কিন্তু ত্রিশাদের মনে শান্তি নেই।আজ এক সপ্তাহ হলো তাহমিরার সাথে একটা বারের জন্যেও কথা হয় না।এই এক সপ্তাহের প্রতিটা সেকেন্ডে সেকেন্ড ত্রিশাদ বুঝেছে যে সে তাহমিরাকে ভালোবাসে।কতোটা কষ্ট হয়েছে তাহমিরার সাথে কথা না বলতে পেরে এটা ও ই ভালো জানো।
দুদিন পর...
ত্রিশাদকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলো।ত্রিশাদ ঘরে এসে আবারও তাহমিরাকে ফোন করছে কিন্তু সেই এক কথাই ফোন বন্ধ। ত্রিশাদ সবার কথা উপেক্ষা করে তাহমিরাদের বাসায় যায়।গিয়ে দেখে মেইন গেটে তালা ঝুলছে।ও পাশের প্রতিবেশীদের জিগ্যেস করতেই যা শুনলো তাতে ৪৪০ ভোল্টের ঝাটকা লাগলে।তাহমিরা আর ওর পরিবারের সবাই নাকি আরো আট/নয় দিন আগে এখান থেকে চলে গেছে। চলে গেছে বললে ভুল হবে ওদের নাকি তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহমিরার নাকি চরিত্র খারাপ ওকে কে যেনো ধর্ষণ করেছে তাই ওদের এখান থেকে তাড়ানো হয়েছে। কোথায় গেছে কেউ কিচ্ছু বলতে পারছে না।এগুলো শুনে ত্রিশাদ মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে।তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে তাহমিরার লেখা চিঠি হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করে
"প্রিয় মিষ্টিআলু,
তোমাকে মিষ্টিআলু কেনো বলেছি জানো? তুমি বেশি একটা দুষ্টামি করো না।খুবই শান্ত একটা ছেলে।আর তুমি আলুর মতো গলুমলু বলে তোমাকে আলু বলেছি।নামটা কি পছন্দ হয়েছে জনাব?জানো ত্রিশাদ তুমিই প্রথম পুরুষ আমার জীবনে যাকে আমি ভালোবেসেছি।তোমার আগে আমার জীবনে ভালোবাসার আগমন ঘটে নি।মনে আছে রিফা আপুর বিয়েতে যাওয়ার পর তোমার সাথে প্রায় দশদিন কথা হয় নি।এই দশটা দিন আমি যে কতটা কষ্টে পার করেছি তা শুধু আমিই জানি।জানো আমার এখন ফুচকা ভালো লাগে।কেনো জানি না হয়তো তোমায় ভালোবাসি বলে,আমি এখন চাঁদ দেখতেও পছন্দ করি বিয়ের পর তোমার কাঁধে মাথা রেখে চন্দ্রবিলাস করবো বলে।জানো আমি সাজতে ভালোবাসি না কিন্তু ইদানিং আমি একটু একটু সাজি কেনো সাজি জানি না হয়তো তোমায় ভালোবাসি বলে।আর তুমি এতো কিউট কি বলবো আর।কিউটের ডিব্বা না না ডিব্বা না ফ্যাক্টরি। ভালোই হইছে তোমার তারিনের সাথে ব্রেকাপ হইছে নাহলে আমি তোমাকে ভালোবাসতাম কেমনে বলো?ধূর আর কিছু মাথায় আসছে জীবনে প্রথম লিখছি তো তাই।আচ্ছা এখন আর কিছু লিখবো না।
ইতি তোমার পাগলী...
চিঠিটা পড়ে ত্রিশাদ জোরে জোরে কেঁদে ফেললো।ওর কান্নার আওয়াজ শুনে সবাই দৌড়ে চলে আসলো।তারিফ ওকে জড়িয়ে ধরে বলল
" কাদছিস কেনো ভাই?"
ত্রিশাদ কান্নার জন্য কিছু বলতে পারছে না শুধু চিঠিটা ওর হাতে দিলো।তারিফ চিঠিটা পড়ে বাকরুদ্ধ। ত্রিশাদ তারিফকে ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলল
"ও..ও কি আর ফিরবে না?আমার ওকে ছাড়া ভালো লাগছে না ওকে প্লিজ ফিরিয়ে আন।আমি পারছি না আর।কোথায় চলে গেলো ও?আমাকে না বলেই চলে গেলো।কিভাবে পারলো?"
ত্রিশাদ বিড়বিড় করে এগুলোই বলছে।আজ সবাই চুপ।ত্রিশাদের বাবা, মা ও। তাদের ছেলে যে একটা মেয়েকে এতো ভালোবেসে কষ্ট পাচ্ছে এটা দেখে তাদের ও খারাপ লাগছে।কিন্তু কিছু করার নেই।
ত্রিশাদ এভাবে পাগলের প্রালাপ বকতে বকতে ঘুমিয়ে পড়ে।
একমাস হয়ে গেছে। ত্রিশাদ ইদানিং অনেক অন্যমনষ্ক থাকে।শুধু মাস্টার্সের ক্লাস করছে।আর ফাক পেলেই নদীর ধরে বসে থাকে যেখানে তাহমিরা আর ও বসতো।হৃদয়টা ভার হয়ে থাকে ত্রিশাদ এর।
কিছুদিন পর একদিন ত্রিশাদ সন্ধ্যার সময় বাসায় ফিরতেই ওর মা বলল
"ত্রিশাদ কালকে তুই ফ্রি আছিস তো?"
"কেনো মা?"
"একটা মেয়ে দেখতে যাবো।এবার একটা বিয়ে করে নে বাবা।কতো আর কষ্ট পাবি।"
ত্রিশাদ রেগে বলল
"মা!তোমাকে আমি কতোদিন বলেছি যে আমি তাহমিরাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না।তারপরও এমন কেনো করছো।এরপর যদি আর একদিন আমি দেখি তুমি এগুলো নিয়ে আমাকে চাপাচাপি করছো তাহলে আমি সেদিনই বাড়ি ছেড়ে দেবো।"
এটা বলেই হন হন করে উপরে চলে গেলো আর ত্রিশাদের মা হতাশ ভঙ্গিতে বসে রইলো।
যে ত্রিশাদ হাজার বকা দেয়া স্বত্তেও কাউকে কিচ্ছু বলতো না সেই ত্রিশাদ এখন কথায় কথায় রেগে যায়।
এদিকে তাহমিরারা ফরিদপুর এসেছে একমাসের বেশী হবে।ফরিদপুর আসার পর ওর বাবা একদিন এক্সিডেন্টে মারা যায়।আর ওর আপুও ওই বাড়ি থেকে চলে আসে।সেই থেকে সংসার ওর আপু আর ও ই চালায় সপ্তাহে এক দুইদিন ভার্সিটিতে যায়।আর সারা সপ্তাহ ধরে দুইবোন মিলে টিউশনি করায়।
আজকে শুক্রবার...
আগের মতো এখন আর শুক্রবারে তাহমিরা দশটা পর্যন্ত ঘুমায় না। বরং সবার আগে উঠে যায়।আজকেও ব্যাতিক্রম কিছু হয় নি।সকালে উঠে নামাজ পড়ে দুইবোন মিলে নাস্তা বানায়।তারপর মা কে আর ওর বোনের মেয়ে রিমাকে খাইয়ে। বাজারে যায় বাজার করতে।যে মেয়ে কখনো বাজারে যায় নি সে এখন বাজারে যায়।বাজার করে ফিরছিলো কিন্তু পথেই কিছু বাজে ছেলেরা ওকে খারাপ কথা শোনাচ্ছে। ও না শোনার ভান করে চলে আসছে।এখন যদি ও ঢাকা থাকতো আর এতো কিছু না হতো ওর সাথে তবে সবগুলোকে ইচ্ছামতো পিটিয়ে হাসপাতাল পাঠাতো।কিন্তু এখন কেউ গালাগালি দিলেও ফিরে কোনো শব্দ করে না।কেমন যেনো স্তব্ধ হয়ে গেছে।
তাহমিরা বাজারের ব্যাগ নিয়ে কিছুদূর আসার পর শুনতে পেলো কেউ যেনো ছেলেগুলোকে থাপ্পড়াচ্ছে আর বলছে
"আমাদের এলাকায় এসে মেয়েদের নোংরা কথা বলার সাহস হয় কিভাবে তোদের?আর কখনো যদি দেখেছি কোনো মেয়েকে এগুলো বলেছিস মেরে হাড্ডি গুড়ো করে দেবে।"
এগুলো বলার সাথে সাথেই ছেলেগুলো পালালো।আর ওই ছেলেটা তাহমিরার দিকে এগিয়ে এসে পাশাপাশি চলতে চলতে বলল
"আপনি চুপ ছিলেন কেনো?ওদের যদি আজকে কিছু না বলেন ওরা কালকেও বলবে আস্তে আস্তে আপনাকে টাচ করাও শুরু করবে আর আপনি মেয়ে আপনার প্রতিরোধ আপনাকেই করতে হবে।বুঝলেন?"
"আসলে আমি এখানে নতুন এসেছি মাসখানেক হয়েছে। তেমন কাউকে চিনি না।তাই কিছু বলতে পারি নি।"
"ওহ!!আমি আপনার পাশের বাড়িতেই থাকি।আমার নাম অয়ন।"
"আমি তাহমিরা।আপনি কি করেন?"
"ডাক্তারি পড়া শেষ আপাতত ইন্টার্ন করছি।আপনি?"
"অনার্সে পড়ছি উদ্ভিদবিজ্ঞানে।"
"ও..আচ্ছা কোনো সাহায্য লাগলে আমাকে বলবেন।"
"আচ্ছা, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।"
এভাবে আরো কিছুক্ষণ কথা বলে তাহমিরা ঘরে চলে গেলো।আর ছেলেটাও নিজের ঘরে চলে গেলো।
No comments