তোকে_অনেক_ভালোবাসি------পর্ব_১১
দিন যেতে লাগলো আরুর প্রতি আদ্রর ভালোবাসাটা যেনো আরো বেড়ে গিয়েছে আরু ও এখন আদ্রর প্রতি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। আরুর ভাবনা একটাই আদ্র ওকে আগলে রাখে শাসন করে প্রতিটি কাজে ও ব্যবহারে তার ভালোবাসার প্রকাশ করে। অথচ সরাসরি মনের কথা কেনো বলছে না?কবে সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে যেদিন আদ্র আরুকে ভালোবাসি বলে কাছে টেনে নিবে। আরু শুধু মনে মনে এসব ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
আদ্র রাতে নিজের রুমে বসে বই পড়ছিলো,আদ্রর মা এলো রুমে। আদ্র মাকে দেখে বইটা রেখে মৃদু হেসে বললো
মা তুমি এ সময় আমার রুমে কিছু বলবে??
কেনো রে ছেলের রুমে কোনো দরকার ছাড়া আসতে পারি না বুঝি??
মা কিযে বলো না! তুমি তো রাতে আসো না তাই বললাম। তোমার যখন খুশি আসবে।
আদ্রর মা হেসে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে ওর পাশে বসলো। একটু চুপ থেকে বললো
আদ্র একটা বিষয় কদিন ধরে মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে,আর সেটা তোকে নিয়ে।
কি বিষয় মা?আমি তো কিছু করি নি!
হুম তুই কিছু করিস নি জানি। আচ্ছা আদ্র একটা সত্যি কথা বলবি?
মা তোমাকে আমি কখনো মিথ্যা বলেছি বলো! কি জানতে চাও তুমি?
আদ্র আরিশাকে তোর ভালোলাগে,মানে ওকে ভালোবাসিস তুই?
আদ্র ওর মায়ের দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে মাথা নিচু করে বললো
মা তোমার থেকে আমি কখনো কিছু লুকাই নি আজও লুকাবো না। হ্যা আমি আরুকে ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি ওকে আমি।
আদ্রর মা মুচকি হেসে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো.....তাহলে আমি যা ভেবেছিলাম ঠিক ভেবেছি। ওকে বলেছিস তোর মনের কথা?
আদ্র মাথা তুলে মায়ের হাত ধরে বললো.....না এখনো বলি নি তবে ও হয়তো বুঝতে পেরেছে। আচ্ছা মা তুমি ব্যাপারটা এতো সহজ ভাবে নিচ্ছো! এতে কোনো আপত্তি নেই তোমার??
কিসের আপত্তি থাকবে হুম। আরিশাকে তো আমি ছোট থেকেই জানি ও খুব ভালো মেয়ে,তাছারা তোর বাবা ও চায় বাড়ির মেয়েকে বাড়িতেই রাখতে।
কি বলছো মা আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না!!আরুকে নিয়ে তাহলে তুমি আর বাবা আগে থেকেই ভেবে রেখেছো??
হুম ভেবে রেখেছি,কিন্তু তোকে নিয়ে চিন্তা হতো যদি তুই রাজি না হস। তবে তোর আরিশার প্রতি যে অন্য রকম একটা টান আছে এটা বুঝতে পেরে কিছুটা নিশ্চন্তে ছিলাম আর এখন তো পুরোটাই চিন্তামুক্ত হলাম।
সবই তো বুঝলাম। কিন্তু চাচ্চু ছোট কাকিমা কি মেনে নেবে??
ওটা আমরা ভাববো,তুই আরিশাকে মনের কথা বল আগে।
আদ্র ওর মাকে জড়িয়ে ধরে বললো....ওহ মা তুমি এত্তো ভালো কেনো!
এই ছাড় এমন জড়িয়ে ধরা কে শিখিয়েছে তোকে হুম।এটা তো আরিশার কাজ ও বুঝেছি ওর থেকেই শিখেছিস!
মা তুমিও না। ওর থেকে কেনো শিখবো আমি কি নিজের মাকে জড়িয়ে ধরতে পারি না।
আচ্ছা হয়েছে ছাড় এখন আমি যাই অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়।
আদ্রর মা চলে যেতেই ও ধপ করে শুয়ে পড়লো মুচকি হেসে বলতে লাগলো.....আরু আমার পথটা যে আরো পরিষ্কার হয়ে গেলো তোকে পাওয়ার জন্য। খুব তাড়াতাড়ি তোকে আমি নিজের করে নেবো। আরু আমি যে #তোকে অনেক ভালোবাসি।
.
.
ড্রয়িংরুমে বসে টিভি দেখছি আব্বু এসে পাশে বসে বললো
আরিশা তুমি এ সময়ে টিভি দেখছো কোচিং নেই?
না আব্বু স্যার আজ গ্রামের বাড়িতে গেছে বলেছে কাল বেশি টাইম নিয়ে পড়াটা কভার করে দিবে। আব্বু তুমি তো এ সময়ে বাড়িতে থাকো না আজ বাড়িতে যে??
তোমার আরিফ আঙ্কেলের কথা মনে আছে তোমার?
হ্যা আব্বু মনে আছে আগে তো প্রায় আসতো আমাদের বাড়িতে আর আসলেই আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসতো।
হুম মনে আছে দেখছি। তোমার আরিফ আঙ্কেল আজ আমাদের বাড়িতে আসবে তাই এখন বেড় হই নি।
ওহ,উনি কখন আসবেন?
কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে।
আমার আর আব্বুর কথা বলার মাঝেই আদ্র ভাইয়া এসে বসেছে। আমি একটু পরে উঠে বাড়ির বাইরে এসে বাগানে চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখছি। গাড়ির আওয়াজ পেয়ে গেটের দিকে তাকালাম। একটা গাড়ি এসে ঢুকলো হয়তো আরিফ আঙ্কেল এসেছে। আঙ্কেল গাড়ি থেকে নেমেই আগে আমার দিকে তাকালো। আমি এগিয়ে গিয়ে সালাম দিলাম। উনি হেসে সালামের উত্তর নিয়ে বললো...
বাহ আমার আরিশা মামনিটা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে দেখছি।
আঙ্কেল এতোদিন পরে আপনি আমাকে চিনলেন কি করে!!
দেখা এতোদিন পরে হয়েছে। কিন্তু তোমার আব্বুর সাথে আমার মাঝে মাঝেই কথা হয় তোমার ছবিও দিয়েছিলো। তাই এখন চিনতে ভুল হয় নি।
ওহ,আচ্ছা আঙ্কেল ভেতরে চলুন।
হ্যা চলো, আরিশা একটু দাড়াও।
আঙ্কেল গাড়ি থেকে একটা চকলেটের বক্স এনে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো.....মামনি এটা তোমার জন্য নাও।
ধন্যবাদ আঙ্কেল। আপনি এখনো চকলেটের কথা মনে রেখেছেন!!
কিছু কিছু জিনিস মনে রাখতে হয় মামনি।
.
.
আরিফ আঙ্কেলের সাথে আব্বু বসে কথা বলছে মা আদ্র ভাইয়া ওখানেই ছিলো। আমি কিচেনে কাকিমার সাথে গল্প করছি। হঠাৎ আমার কানে ভেসে এলো আরিফ ছেলে কি করে ফ্যামিলি কেমন,কথাটা আব্বু বলেছে। এ কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম। হয়তো কাকিমা ও শুনেছে। কাকিমা আমার পাশে এসে বললো.....
আরিশা তুই এখন উপরে যা,অথই কি করছে দেখ গিয়ে।
আমি মলিন মুখে কাকিমার দিকে তাকিয়ে বললাম.....কাকিমা আব্বুর বলা কথাটি শুনেছো তুমি??
কাকিমা আমার মুখে হাত রেখে বললো.....আরিশা তুই যা ভাবছিস তেমন কিছু নয়।
আমি আর কিছু বললাম না চুপচাপ কিচেন থেকে বেড়িয়ে এলাম। ড্রয়িংরুমে তাকিয়ে আদ্র ভাইয়াকে দেখতে পেলাম না।
আচ্ছা কেনো আমার মন খারাপ হচ্ছে আব্বু আমার বিয়ে দেবার জন্য ছেলে খুজছে নাতো? নাহ এ কি ভাবছি আমার হয়তো ভুল হচ্ছে,অন্য কোনো বিষয় নিয়েও তো কথা বলতে পারে।
উপরে উঠে রুমে যেতে ইচ্ছে করছে না তাই ছাদের দিকে যাচ্ছিলাম। আদ্র ভাইয়ার রুমের দরজার সামনে আসতেই কেউ আমার হাত ধরে ভেতরে নিয়ে দরজা আটকে দিলো। হঠাৎ এমন হওয়ায় আমি বুঝে উঠতে পারছি না ঠিক কি হলো আমি বিষ্ময় চোখে মাথা তুলে তাকাতেই আদ্র ভাইয়াকে দেখলাম। উনার মুখটাও কেমন শুকনো দেখাচ্ছে!আমার ডান হাতটা উনার হাতের মুঠোয়।
আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে বললাম.....কি ব্যাপার ভাইয়া আমাকে এভাবে রুমে আনলে কেনো??
আমার কথাটা হয়তো উনি শুনতেই পায়নি,আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আমাকে অবাক করে দিয়ে হেচকা টানে উনার বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। আমি কি বলবো বা কি করবো বুঝতে পারছি না।উনার এক হাত আমার কোমড়ে অন্য হাত দিয়ে আমার মুখের উপর পড়া চুলগুলো সরিয়ে কানের পেছনে গুজে দিলো। আমার কানের কাছে নিজের মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলো......
আরু চাচ্চু হয়তো তোর বিয়ে দেবার জন্য ছেলে দেখবে,ছেলের খোজ খবর নিচ্ছে। তোকে যদি বিয়ের কথা বলে তুই না করে দিবি বুঝেছিস? খবরদার অন্য কোনো ছেলেকে বিয়ে করার কথা মাথাও আনবি না।
আদ্র ভাইয়ার কথাগুলো শুনে আমি পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম! ভেবেছিলাম হয়তো এখন উনি আমাকে ভালোবাসি কথাটা বলবে কিন্তু না সে আমাকে সাবধান বাণী শুনাচ্ছে। রাগ উঠে গেলো আমার আমি জোর করে নিজেকে ছাড়িয়ে একটু দুরে সরে দাড়িয়ে বললাম
আমি যাকেই বিয়ে করি না কেনো তাতে তোমার কি হ্যা? আব্বু বিয়ের কথা বললে আমি হ্যা বলে দিবো। অনেক শুনেছি তোমার কথা আর না। আব্বু যদি সত্যি আমার বিয়ে দিতে চায় আমি বিয়ে করবো। শুনেছো তুমি?
আমি বেড় হওয়ার জন্য দরজার কাছে আসতেই আদ্র ভাইয়া আমার হাত ধরে বললো......আরু আমার কষ্টটা কি তুই একটুও বুঝিস না??
আমি ঘুরে উনার চোখের দিকে তাকালাম,চোখে পানি জমে আছে। আমি অন্য দিকে তাকিয়ে বললাম
কেউ যদি নিজের ইচ্ছেতে কষ্ট পেতে চায় তাতে আমার দোষ কোথায়। সে আমার উপর অধিকার দেখাতে পারে অথচ সেই অধিকার টা কিসের জন্য সেটা বলতে পারে না? নিজে ভুল করে এখন আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে তাইনা?
আমি অন্য দিকে তাকিয়ে আড় চোখে আদ্র ভাইয়ার দিকে তাকালাম উনার মলিন মুখটা যেনো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আমার হাত ধরে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো......
আমার উপর অনেক অভিমান তোর তাইনা? আমি কি করবো বল বার বার বলতে চেয়েও বলতে পারছিলাম না,আবার আটকাতেও পারছি না নিজেকে। তোর প্রতি যে আমার অন্য রকম একটা অনুভূতি আছে সেটা হয়তো তুই বুঝতে পারিস। তোর এই মায়া ভরা দৃষ্টিতে তাকানো,তোর হাসি,তোর ছোট খাটো পাগলামো গুলো আমাকে খুব টানে।
আদ্র ভাইয়া এটুকু বলে থামলো,আমি উনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি,উনি মুখে না বললেও চোখ দুটো বলে দিচ্ছে আরু তোকে ভালোবাসি। আমাকে উনি এভাবে ধরে রাখায় অস্বস্তি হচ্ছিলো আবার লজ্জা ও লাগছিলো নিজেকে উনার এতোটা কাছে দেখে।উনি আবারো বলতে লাগলো.....
একসময় ভাবতাম হয়তো এ সব কিছুই আবেগ। কিন্তু না এসব আবেগ নয়,আমার মনের গভীরে যে নামটা মনের অজান্তেই লেখা হয়ে গিয়েছে সে নামটা আর কারো নয় সে নামটা শুধুই তোর। আমার প্রতিটি নিশ্বাস শুধু আরিশাকে খোজে আমার আরুকে খোজে। কেনো জানিস? কারন এই আরুকে ছাড়া যে আমার নিশ্বাস নেওয়াটাই বন্ধ হয়ে যাবে। আরু তোকে না পেলে আমি নিজের অস্তিত্ব বাচিয়ে রাখতে পারবো না। তোকে অনেক ভালোবাসি আরু অনেক বেশি ভালোবাসি।
.
.
আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না! আদ্র আজ নিজের মুখে বললো উনি আমাকে ভালোবাসে! নিজের বিষ্ময়টা ধরে রাখতে পারছিলাম না! উনার চোখের দিকে এখনো চেয়ে আছি চোখ থেকে অঝরে পানি পড়ছে। এটা কষ্টের নয় আনন্দের! আদ্র মুচকি হেসে আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো.....
আরু আমি জানি তুই কেনো কাদছিস। তোর কান্না টা খুশির হলেও আমার যে কষ্ট হচ্ছে প্লিজ কাদিস না।
আমি মৃদু হেসে বললাম......ভাইয়া তুমি.....
এটুকু বলতেই আদ্র আমার মুখে হাত দিয়ে বললো......উহুম আজ থেকে ভাইয়া নয়,আদ্র বলে ডাকবি আমায়।
কিন্তু....!
কোনো কিন্তু শুনতে চাইনা আমি। আমি তোকে ভালোবাসি তুই বুঝতে পারতি আমি মুখে কেনো বলি না এই কারনেই তোর যতো অভিমাম ছিলো তাইনা? যে কারনেই হোক এতোদিন বলিনি কিন্তু আজ তো বলেছি। তাই আজ থেকে কোনো রাগ অভিমান নয় শুধু ভালোবাসবি আমায় আর আমি যা বলনো সেটাই করবি।
কেনো আমি কি তোমার কোনো কথা শুনি না নাকি??
হ্যা শুনিস বকে ধমকে তারপর তোকে পথে আনতে হয়। এই আরু খুব তো আমার মনের কথা যেনে নিলি তোর মনের কথা কি জানাবি না আমাকে??
আমার মনের কথা জানতে এখনো কিছু বাকী আছে হুম?
হ্যা আছে তো আরু পাখি একবার বলনা ভালোবাসি।
বলবো না এখন ছাড়ো আমায়।
কেনো ছাড়বো! আমার হবু বউকে ধরে রেখেছি আমি তাতে তোর কি শুনি??
উনার মুখে বউ ডাকটা শুনে বুকের ভেতর ধুক করে উঠলো।খুব লজ্জা লাগছিলো আমার।
আমার কি তাইনা। বলেই উনার হাতে জোরে চিমটি কাটলাম উনি ছেড়ে দিলো আমায়। ছাড়া পেয়ে দরজা খুলে বেড়িয়ে এলাম। আদ্র পেছন থেকে বলছে.....
পালিয়ে আর কোথায় যাবি এতোদিন তোকে মনের কথা বলতে পারিনি বাট আজ তো বলেছি তোকে আর পালানোর সুযোগ দিবো না।
আমি এক দৌড়ে নিজের রুমে চলে এলাম,আমার ঠোঁটে লেগে আছে মুচকি হাসি। রুমের দরজা লক করে পেছনে ঘুরতেই অথইকে দেখলাম বেডে বসে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমার ফোনটাও ওর হাতে।
এই তুই হাসছিস কেনো আর আমার ফোন তোর হাতে কেনো হুম?
হাসির কারনটা জানতে চাও?
হুম জানতে চাই বল?
ধরো তোমার ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে দেখো বুঝতে পারবে।
আমি ফোনটা নিয়ে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে হা করে ফেললাম সাথে কিছুটা লজ্জা ও লাগছে। ম্যাসেজ টা আদ্র করেছে লেখা আছে.....আরু তোকে এতো লজ্জা পেতে আজ প্রথম দেখলাম গাল দুটো টমেটোর মাতো লাল হয়ে গিয়েছিলো,ইচ্ছে করছিলো খেয়ে ফেলি তোকে!!
আমি ম্যাসেজটা পড়ে অথই এর দিকে তাকাতেই ও হেসে বললো
আচ্ছা আপু আমি তোমাকে এখন থেকেই ভাবি বলবো নাকি তোমাদের বিয়ের পরে ভাবি বলবো??
অথই কি বলছিস তুই ভাবি কেনো বলবি আমায়??
বারে ভাইয়ার মনের রাণী হতে চলেছো,না না হয়ে গিয়েছো তাহলে তো ভাবিই বলতে হবে তাইনা। আমি কিন্তু দেখেছি ভাইয়া তোমাকে টেনে নিজের রুমে নিয়ে গেছিলো।
ততুই দেখেছিস!!
হুম দেখেছি। শোনো আপু আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম ভাইয়া তোমাকে ভালোবাসে। যাক ভালোই হলো আমারো ইচ্ছে ছিলো তুমি আদ্র ভাইয়ার বউ হবে আর আমি তোমাকে ভাবি বলে ডাকবো।
No comments