Header Ads

Header ADS

ভালোবাসায়_বেধে_রেখো💞 পর্বঃ০১

 "এক রাত আপনার সাথে কাটাবো মানে?কি বলতে চাইছেন আপনি?এতো বেয়াদব আপনি জানতাম না।"

"আমার সাথে এক রাত কাটাও সুন্দরী তাহলে তোমার বোনকে আর অত্যাচার করবো না।আর তোমাকে কাল সকালে বিয়ে করে ফেলবো।এমনিতেও ছেলেরা চার বিয়ে করতে পারে।তুমি আমার দ্বিতীয় বউ হবে।নিজের বোনের ভালো চাইলে রাজি হয়ে যাও।"
বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে তাহমিরা দুলাভাইয়ের মুখে এই কথাগুলো শুনে আশ্চর্য। এটা তার দুলাভাই যাকে বিয়ে করার জন্য তার বোন বাড়ি থেকে পালিয়েছিলো।তাহমিরা দাত কটমট করে ওর দুলাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল


"আমি আজকেই আপুকে সব বলে দেবো আপনার সম্পর্কে। "
"লাভ নেই বিশ্বাস করবে না।ও আমাকে খুব ভালোবাসে।কিন্তু আমি ভালোবাসি তোমাকে। "
"আপনি আমার আপুকে ঠকিয়েছেন।আর আমি আপুকে এখান থেকে নিয়ে যাবো।"
এটা বলেই তাহমিরা বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।এই বাসায় আর একমুহুর্তও না।কি করে যে তার বোন এই অসভ্য চরিত্রহীন লোকটাকে ভালোবাসলো এটাই ওর মাথায় আসছে না।বের হওয়ার সময় ওর বড়ো বোন অনেক বার আটকানোর চেষ্টা করেছিলো কিন্তু তাহমিরা জোর করেই চলে এসেছে। বাসায় এসেই দপ করে সোফায় বসে পড়লো।তাহমিরার মা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে জিগ্যেস করলো
"কি হয়েছে রে তাহু?"
তাহমিরা কাঁদতে কাঁদতে বলল
"মা আপু ভালো নেই ওকে ওই জানোয়ারটা অনেক অত্যাচার করে। আর আজকে ওই জানোয়ারটা আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়েছে। মা তুমি আপুকে নিয়ে আসার ব্যাবস্থা করো।"
"পালানোর সময় মনে ছিলো না?এখন বুঝুক মজা।আর তুই কখনো ওই বাড়িতে যাবি না।"
"মা প্লিজ কিছু একটা করো।ওর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারবো না।"
"আচ্ছা আমি তোর বাবার সাথে কথা বলে দেখি।"
"আচ্ছা মা।"
এই বলে তাহমিরা উপরে চলে গেলো।
,
সকাল ১০.০০ টা....
আকাশে আজ মেঘ জমেছে বৃষ্টি হতে পারে। তাহমিরা মন খারাপ করে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে হাটছে।ওর মন খারাপের কারণ হলো রাতে কালকে ওর আপুকে চলে আসার জন্য ফোন করার পর ওর আপু সাফ সাফ জানিয়ে দিলো সে আসবে না। এগুলো ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখলো ওই ছেলেটা আজকেও দাড়িয়ে আছে।তাহমিরা বিষয়টা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না দু সপ্তাহ ধরে এই ছেলেটা ওর ভার্সিটির সামনে দাড়িয়ে থাকে কারো জন্য অপেক্ষা করে বোধ হয় কিন্তু কার জন্য অপেক্ষা করে সেটাই বুঝতে পারছে না তাহমিরার খুব ইচ্ছা করছে গিয়ে ছেলেটাকে জিগ্যেস করতে কার জন্য রোজ রোজ সে এখানে অপেক্ষা করে।খুব সাহস করে তাহমিরা গিয়ে ছেলেটাকে জিগ্যেস করেই ফেললো
"এক্সকিউজ মি!"
"জ্বি, বলুন।"
"যদি কিছু না মনে করেন একটা প্রশ্ন করতে পারি?"
"জ্বি করুন।"
"আপনাকে আজকে দু সপ্তাহ ধরে এখানে দেখছি দাড়িয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করতে।আপনি কার জন্য অপেক্ষা করেন?"
"আমার প্রেমিকার জন্য। "
"ওহ,উনি কি এই ভার্সিটিতেই পড়েন?"
"হুম।"
"উনাকে কোনো কফি শপে আসতে বললেই পারেন।"
"ও আমার ফোনই তুলছে না।এড়িয়ে যাচ্ছে তাই এখানে এসে দাড়াই।"
"আচ্ছা আপনার গার্লফ্রেন্ডের নাম কি?বাই এনি চান্স উনাকে যদি আমি চিনে থাকি তাহলে আপনার সাথে দেখা করতে বলবো।"
"ওর নাম তাশকিয়া সুলতানা তারিন,অনার্স ২য় বর্ষ,উদ্ভিদবিজ্ঞানে পড়ছে।"
"ওহ,তারিন ওকে তো আমি চিনি আমাদের ক্লাসেরই।আমি বলে দেবো ওকে।"
"প্লিজ একটু বলে দিয়েন।"
"আচ্ছা আমি আসি।"
"আচ্ছা। "
তাহমিরা ক্লাসে এসেই তারিনের কাছে গিয়ে বলল
"তারিন তোমার সাথে কথা আছে।"
"হ্যাঁ বলো।"
"গেটের সামনে একটা লোক তোমার জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করে তুমি একটু কথা বলো ওনার সাথে। "
"কোন লোক?"
"তোমার বি এফ।"
তারিন বিড়বিড় করে বলল
"ওহ!এই প্রতিবন্ধীটার জ্বালায় আর ভাল্লাগে না।"
"কিছু বললে?"
"না না কিছু না।আচ্ছা আমি কথা বলবো ওর সাথে।
তারিনের সাথে কথা বলে ভার্সিটিতে ক্লাস করে তাহমিরা বাড়িতে চলে আসে।বাসায় এসেই রান্নাঘরে গিয়ে মাকে ডেকে বলে
" মা আপু কি আর ফোন দিয়েছিলো?"
"না ও আর ফোন দেয় নি।তুই আর এসব নিয়ে মাথা ঘামা বি না। ওর যেহেতু আসার ইচ্ছা নাই তাহলে আমরা কি করবো।"
মায়ের কথা শুনে কিছু না বলেই উপরে চলে গেলো তাহমিরা।নিজের বান্ধবীর মতো বোনকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাহমিরা। রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ পড়া লেখা করে রাত নয়টার সময় খেতে গেলো তাহমিরা।খাওয়ার মাঝেই তাহমিরার বাবা সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে উঠলো
"তাহমিরা!তোমাকে একটা ছেলে দেখতে আসবে কালকে।"
"বাবা আমি এখন বিয়ে করবো না।আমি এটার জন্য মানষিক ভাবে প্রস্তুত না। "
"ছেলেটা শুধু দেখতে আসবে আর দেখতে আসলেইতো বিয়েটা হয়ে যাচ্ছে না।"
তাহরিমা কোনো কথা না বলে প্লেট টা আছাড় মেরে রুমে চলে গেলো।রুমে গিয়ে দরজা লক করে শুয়ে পড়লো।রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে এখন ঘুম দরকার।
সকাল ৯.৩০...
আজকে একটু তাড়াতাড়িই বাসা থেকে বের হয়েছে। না খেয়েই চলে এসেছে ওর মা কতোবার করে খেয়ে যাওয়ার জন্য বলল কিন্তু কে শোনে কার কথা।ভার্সিটির সামনে আসতেই দেখলো ওই লোকটা আজকেও দাড়িয়ে আছে।তাহমিরা সামনে গিয়ে বলল......
চলবে...🍁




No comments

Theme images by rami_ba. Powered by Blogger.