Header Ads

Header ADS

হৃদমাঝারে_তুমি_ছিলে❤ ----পর্ব_৪



কমলাপুর রেলস্টেশনের সকালটা সুন্দর। আশেপাশে ব্যস্ত মানুষের কোলাহলের সাথে চমৎকার এক পরিবেশ। মাঝে মাঝে কুলিরা ব্যাগ নেয়ার জন্য নির্বিকার ভাবে ডাকছে। তো মাঝে মাঝে ওয়েটিং রুমে প্যাসেন্জারদের বিরক্তি সবার নজর কেড়ে নিচ্ছে। তবে মাইশার কাছে এই সব থেকেও বেশি সুন্দর মনে হলো আয়াতের সৌন্দর্যকে। শীতের কারনে লেমন টিশার্টের ওপর একটি কালো জ্যাকেট জরিয়ে নিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে মুখ ধোয়ার কারনে মুখে ফুটে উঠেছে বিন্দু বিন্দু পানি। চাপ দাঁড়িগুলো যেন নিজেদের সৌন্দর্য নিপুণতার সাথে প্রকাশ করে যাচ্ছে।

মাইশা একপলক নিজেকে দেখে নিলো। গতরাতে কাদায় পরে যাওয়ায় জামা পাল্টে নিয়েছে ও। পায়ের ব্যাথার পরিমাণটা নেই বললেই চলে। এর ক্রেডিট দিতে হবে আয়াতের ফ্রেন্ড শাওনভাইকে। আয়াতের মতো ডেস্পারেট মানুষের সাথে এমন ছেলের এত গভীর বন্ধুত্ব কিকরে সম্ভব মাইশা যেন ভেবে তার কূল কিনারা পেলো না। পৃথার এখনও বিয়ের শাড়ি পরা। বলা বাহুল্য পৃথার কোনো জামা না থাকায় অগত্যায় এই শাড়ি পড়ে আছে ।
--''এখন কোথায় যাবে তোমরা?''
শাওনের প্রশ্নে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো সবাই ওর দিকে। আনান তখন বললো,
--''ডিরেক্ট কাজী অফিস। এই নিব্বা নিব্বির ফটাফট বিয়ে দিতে হইবো।''
--''কেনো কাজী অফিস মধুচন্দ্রিমায় যাবে নাকি?''
আয়াতের আড়ষ্ট কন্ঠে সামাদ , আনান, পৃথা, অর্পি, মাইশা সবাই বিস্মিত চোখে আয়াতের দিকে তাকায়। আয়াতের চোখের তেজস্ক্রীয়তা স্পষ্ট। ঠোঁটদুটো চেপে এমন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে যেন গভীর কিছু একটা ভেবে নিয়েছে। আয়াত আবার বললো,
--''এখন কাজী অফিস যাবে না। যাবে যেকোনো সেফ একটি জোনে। যেখানে পঞ্চগড়ের সেই লোকগুলা বিন্দুমাত্র টের পাবেনা। সো থিংক ইট ডিপলি এন্ড ডোন্ট মেক অ্যা স্ট্রেসফুল ডিসিশন।''
আয়াতের বুদ্ধিমত্তায় অভিভূত হলো ওরা। ব্যাপারটা আসলেই ভেবে দেখতে হবে। একটা ভুল পদক্ষেপ অনেক বড় ঝামেলা ক্রিয়েট করতে পারবে। তিথি তখন বললো,
--''বিয়েটা এখন ফ্যাক্ট না। ফ্যাক্ট হলো তোমাদের সেফ থাকা। সো আই থিংক আয়াত সেইড রাইট।''
আয়াত কিছু না বলে কিঞ্চিত হাসলো। চোখের পাপড়ির ঘন পল্লবে ওকে দেখতে লাগছে অমায়িক।মাইশা গহীন দৃষ্টিতে ওর মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। কেউ বলতেই পারবে না এই ছেলের মধ্যে কোনো আড়ষ্টতা ভাব আছে।অর্পি তখন আয়াত, শাওন আর তিথির উদ্দেশ্যে বললো,
--''আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।আজ আপনাদের জন্যই আমরা সেইফলি ঢাকায় ব্যাক করেছি।''
--''ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম।''
তিথি মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো।
--''তো তোমরা এখন যাবে কোথায়?''[শাওন]
--''আমরা সবাই মিরপুর নামবো তবে মাইশা আর অর্পি যাবে উত্তরাতে। ''[সামাদ]
আয়াত মোবাইলের থেকে চোখ উঠিয়ে ওদের দিকে তাকালো। একপলক জানতে ইচ্ছে হয়েছিলো যে মাইশার বাসা উত্তরাতে নাকি। পরন্ত কিছু ভেবে আর জিজ্ঞেস করলো না। আয়াত তখন মোবাইল পকেটে রাখতে রাখতে বললো,
--''ইফ অল অফ ইউ হ্যাভ নো প্রবলেম আমরা তোমাদের পৌছে দিতে পারবো।''
--''কিন্ত কিভাবে?''
মাইশার সন্দেহজনিত প্রশ্ন।
আয়াত অকপটে উত্তর দিলো,
--''অবিয়াসলি কার ড্রাইভ করে। শাওনের বাবা এখানকার রেইল ডিপার্টমেন্টে বড় পদের একজন অফিসার। তার সরকারি গাড়ি থাকতে আমরা কেন টাকা দিয়ে বাড়িতে যাবো?''
--''অবশ্যই। ফটাফট সবাই বাইরে গিয়ে দাঁড়াও। আমি কার নিয়ে আসছি।''[শাওন]
---------------------------------------------
গাড়ি সা সা করে ছুটে চলছে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার এর ওপর দিয়ে। সরকারি গাড়ি আবার ছোট বিধায় একপ্রকার গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে সিটে। প্রথমে আয়াত ড্রাইভ করছে আর পাশে বসা শাওন। পেছনে বসেছে পৃথা , অর্পি তিথি আর মাইশা। তারও পেছনে ব্যাগপত্রের সাথে ঘেষাঘেষি করে বসে আছে আনান আর সামাদ। আনান ব্যাথাতুর কন্ঠেসামাদকে বললো.
--''শালা আমার সাথে চিপকা বইসা আছোস কেন? আমারে তোর বউ পাইছস? দূরে সর।''
--''আমার তো আর কাজকাম নাই যে তোর মতো হনুমানের সাথে আমি বসবো। ব্যাগগুলা তোর মাথায় রাখ এরপরই আমি দূরে বসতে পারবো। চোখ কি মাথার মগজে ঢুকাইয়া রাখসস? দেখোস না যেব্যাগের জন্য আমাদের বেমালুম অবস্থা?''
আনান নাক সিটকিয়ে হাহাকার করতে লাগলো। আনান আর সামাদের অবস্থা দেখে সবাই মজা নিচ্ছে। সাথে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো মাইশা। এই আনান পয়দা থেকেই এমন ছিলো এটা তো অজানা কিছু নয় কিন্ত আজ বোধহয় সামাদেরও আনান রোগ হয়েছে।
মেঘলা আকাশটা ঢাকার পরিবেশটা আরও চমৎকার করে দিচ্ছে। ফ্লাইওভাবের বাতাসের অবিন্যস্ত প্রবাহে হিম ধরে গেলো মাইশার শরীরে। দুধারের উচু উচু দালানের সৌন্দর্য যেন আধুনিকতার সাক্ষাত দিচ্ছে। হঠাৎ সামনের দিকে ব্যাক মিররে চোখ গেলো মাইশার। ঘন পাপড়ি বিশিষ্ট কালচে বাদামী চোখজোড়া এক ধ্যানে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। পেছন থেকে মাইশা আয়াতের মুখের এক চতুর্থাংশ দেখতে পেলো। তবুও যেন দৃষ্টিনেশা হয়ে গিয়েছে ওর। আয়নার স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কিভাবে বারবার উপরের ঠোঁট দিয়ে নিচের ঠোঁট দিয়ে আনমনে ড্রাইভকরছে আয়াত।
ইউটিউবের বেশ কয়েকটা ভ্লগে , আবার ইনস্টাগ্রাম পেজে এই কন্টেট ক্রিয়েটর আরহাম আয়াতকে দু তিনবার দেখা হয়েছিলো কিন্ত ওর সৌন্দর্য বা কাজকর্ম নিয়ে কখনও আগ্রহ জাগেনি মাইশার মনে। তবে এটা মানতে হবে যে আয়াত বাস্তবে এর থেকেও বেশি সুন্দর।
--''গার্লস আমার স্মোক করতে খুব ইচ্ছে করছে। ইফ ইউ গিভ মি অ্যা পার্মিশন, মে আই?''
শাওনের অকপটে আবেদনে বিস্মিত হলো সবাই। যেন স্মোক করাটা কোনো ব্যাপারই না। আয়াতের তুলনায় শাওনও কম অংশে সুন্দর নয়। কালো ঘন চুল, শক্ত চোয়াল, ফর্সা মুখের প্রশস্ত হাসি সবমিলিয়ে একজন সুদর্শন পুরুষ হিসেবে শাওন হয়তো বেস্ট। সাধারনত ছেলের সিগারেট খাওয়াটা কেউ ভালো চোখে না দেখলেও শাওনের ভিন্নতা হয়তো এখানেই ফুটে উঠেছে। আয়াত তখন বলে উঠলো,
--''এখানে খাইস না ভাই। সামনে টোল দিতে হবে। দেখলে ঝামেলা হবে ।''
--''ইয়াহ্। ইউ আর রাইট।''
শাওন স্বতস্ফূর্ত কন্ঠে বলে ওঠলো।মাইশা এখনও তাকিয়ে আছে ব্যাক মিররে আয়াতের প্রতিবিম্বর দিকে। চোখ যেন কোনোক্রমেই সরছে না। হঠাৎ আয়াতও সেদিকে নজর দিলো। দুজনের চোখাচোখি হতেই হঠাৎ মাইশার হার্টবিট একটা যেন মিস হয়ে গেলো। মনে মনে বলে ফেললো,
--''ও এম জি............ও এম জি। আমি এবার পাগলই হয়ে যাবো।''
যদিও মুখ ফুটে তা আর প্রকাশ হলো না। আয়াত অবিন্যস্ত ভঙ্গিতে এখনও আয়নায় মাইশার বড় বড় মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ ওর ধ্যান ভাঙলো শাওনের ধাক্কায় ,
--''হোয়াট হ্যাপেন্ড আয়াত? ব্যাক মিররে এভাবে কি দেখছিস?
লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নিলো মাইশা। নিজের মাথায় নিজেরই বারি মানতে মন চাচ্ছে ওর। এতক্ষণ কিভাবে ক্যাবলাকান্তের মতো আয়াতের দিকে তাকিয়ে ছিলো এটা ভাবতেই অদ্ভুত সম্মোহনীতে পড়ে গেলো মাইশা। আয়াত মিররে মাইশার দিকে তাকিয়ে গম্ভীরদৃষ্টিতে শাওনকে বললো,
--''তেমন কিছু না।''
আয়াতের ''তেমন কিছু না'' কথাটির মধ্যেও এক অন্যরকম আকর্ষণ ছিলো যা মাইশার শরীরে শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে। মাইশা বড্ডই ভাবুক মেয়ে। ছোট্ট একটি বিষয় নিয়েই ভাবনায় মশগুল হয়ে পড়ে। আয়াতের এই ছোটখাটো বিষয়ও মাইশাকে ভাবুক করে তুলছে। আচ্ছা ! ওতো আগে এমন ছিলো না। তবে হুট করে এক রাতের ব্যবধানে এত পরিবর্তন আসলো কিভাবে?
--------------------------------------
উত্তরার ২ নং সেক্টরটি সুন্দর। প্রতিটা বিল্ডিং এর মাঝেই বড়সড় জায়গা খালি রয়েছে। শীতের আমেজে গাছের পাতাগুলোতে মলিনতায় ভরপুর। গাড়ি এখন চলছে এই রাস্তাটিকে কেন্দ্র করেই। আনান, সামাদ নেমেছে মিরপুরে আর পৃথা নেমেছে আর একটু এগিয়ে ওর খালামণির বাসার সামনে।এরপর মাইশা আর অর্পিকে উত্তরাতে পৌছে দেয়ার জন্যই মূলত এখানে আসা।
--''আপনাদের বাসা কোথায়?''
অর্পির সপ্রতিভ প্রশ্নে নজর দিলো আয়াত আর শাওন। মূলত ওদের উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন করেছে অর্পি। আয়াত গাড়ির স্টেয়ারিং ঘোরাতে ঘোরাতে বললো,
--''সেটা না জানলেও চলবে।''
--''ভয় হচ্ছে যে হুট করে আপনার বাসায় চলে যাবো কিনা?''
মাইশার স্থির কন্ঠে আয়াত মিরর দিয়ে আরও একবার মাইশার দিকে তাকালো। পড়ন্ত দুপুরে এমন তীক্ষ্ণ চাহিনীতে মেয়েটাকে স্নিগ্ধ লাগছে। আয়াত বিদ্রুপ হাসি হেসে বললো,
--''হুট করে আমার বাসায় এমন অপরূপ সুন্দরী মেয়ে আসলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হবে। ইউ নো হোয়াট প্রাইভেসি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি।''
মাইশার শরীরে যেন শুয়োপোকা কিলবিল করছে। আজীবন শুনেছে ''Honesty is the Best policy'' ; তবে এই প্রথম শুনলো ''Privacy is the best policy'' । অপমানে থমম করছে ওর মুখখানা। আচমকা গম্ভীর কন্ঠে বললো,
--''স্টপ দ্য কার !''
আয়াত খেয়াল করলো এখনও আবাসিক এরিয়াতে প্রবেশ করেনি গাড়িটা। তবুও গাড়ি থামিয়ে বললো,
--''কেন?''
--''আমরা এসে পড়েছি।''
--''আমাকে মানসিক পাগল লাগছে তোমার। এটা কোনো আবাসিক এরিয়া না । সো তোমার ঠিকানা বলো আমি পৌঁছে দিচ্ছি।''
--''এখানেই নামিয়ে দিন। ইউ নো হোয়াট Privacy is the best policy''
আয়াত বুঝে গেলো একটু আগের কথায় এই মেয়ে আবারও ক্ষেপে গিয়েছে। মেয়েটার চোখে মুখে সূচাঁলো একধরনের ভাব। ঠোঁট কামড়ে যেন বিরক্তির প্রকাশ ঘটাচ্ছে।
আয়াত ঠোঁট টিপে হেসে ফেললো মাইশার বেগতিক অবস্থা দেখে। আয়াতের ওই ঠোঁট চাপা হাসি দেখে মাইশার মাথা আরও আগুন ধরে গেলো।
তবে আয়াতকে মোটেও বিচলিত দেখালো না । চোখে যেন কৌতুক খেলছে।আয়াত দুষ্টু কন্ঠে বললো,
--''আমি আমার এড্রেস দিলাম না বিধায় এতো রাগ। উহ্ ! ব্যাপারটা ভালো দেখাচ্ছে না। সামথিং সামথিং?''
মাইশা আয়াতের ওই কৌতুহলভরা ড্যামকেয়ার দৃষ্টি দেখে আর স্থির থাকতে পারলো না। একপ্রকার চেচিয়ে বলে উঠলো,
--''দেখুন ! এভাবে তাকানোর কিছু নেই। আপনি যেটা ভাবছেন সেটা সত্য নয়।''
আয়াতের ঠোঁটের হাসি আরওপ্রসারিত হলো। নির্দোষ গলায় বললো,
--''ও ! তাই নাকি? কিন্ত আমি কি ভাবছি বলোতো? আমি নিজেই তো জানি না যে আমি কি ভাবছি। ''
এতটুকু বলে অর্পির দিকে তাকিয়ে বললো,''তুমি জানো আমি কি ভাবছি?''
মাইশা আয়াতের ঠাট্টা ধরতে পেরেই অপমানে মুখ থমথমে করে ফেললো।মুখটাতে কেমন যেন কাদো কাদো ভাব। মাইশা কটমট করে আয়াত নামের সুদর্শন ছেলেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে অর্পিকে বললো,
--''গাড়ি থেকে বের হবো অর্পি।''
বলেই মাইশা নেমে পড়লো। অর্পি মাইশার আকষ্মিক কান্ডে তৎক্ষণাৎ হকচকিয়ে গিয়েছে। অবাক গলায় বললো,
--''কেনো?''
--''বিয়ে করে এখানে সংসার পাতবি নাকি? চল আমার সাথে।''
অর্পি বিস্ময়ে হা হয়ে রইলো। কেননা এই মাইশা ওর অচেনা। এত তুচ্ছ একটা ঘটনায় মাইশা এমন বাচ্চামো করে বসবে এটা ভাবতেই শ্বাস যেন রুদ্ধ হয়ে আসছে। শাওনও মোটামোটি অবাক।আয়াত কিছু না বলে গাড়ি থেকে নিঃশব্দে বেরিয়ে এলো। মুখে এখনও সেই স্মিত হাসি। মাইশাকে অবাক করে দিয়ে বললো,
--''আই হ্যাভ নেভার সিন উইয়ার্ড গার্ল এজ ইউ। যেদিকে মেয়েরা আরহাম আয়াত বলতে পাগল না হলেও একবার চোখ বুলিয়ে নিতে চায় সেখানে তুমি ডিফারেন্ট। জানিনা আমাদের দেখা হবে কি-না বাট আই লাইক ইউর ম্যাডনেস। হ্যাভ অ্যা গুড ডে।''
আয়াতের কন্ঠ সম্মোহনীর মতো টানছিলো মাইশাকে। এর মধ্যে আয়াত গাড়ি নিয়ে চলে গেলো উত্তরার সুন্দর রাস্তা দিয়ে। আয়াতের ওপর সমস্ত রাগ নিমিষেই ডিসেম্বরের হাওয়ার মিলিয়ে যায়। আয়াতের ঠোঁট টেপা হাসি, চাপ দাঁড়ি, কালচে বাদামী চোখ সবকিছু রোদের আবরণে দৃশ্যমান লাগছে মাইশার কাছে। কানের কাছে নপুরের ধ্ধনির মতো বাজছে,

No comments

Theme images by rami_ba. Powered by Blogger.