তোকে_অনেক_ভালোবাসি-------পর্ব_২৯
সকালে আদ্রর আগে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছে। আদ্র আমাকে জাপটে ধরে ঘুমিয়ে আছে। উনার মুখের দিকে তাকাতেই আমার চোখ আটকে গেলো। কতো নিষ্পাপ লাগছে দেখতে ছোট বেবিদের মতো ঠোঁট চেপে রেখে ঘুমিয়ে আছে। দেখতে বাচ্চাদের মতো লাগছে বাবা হতে চলেছে অথচ উনাকেই এখন বাচ্চা বাচ্চা লাগছে। ইসস আমি যে আবারো প্রেমে পড়ে গেলাম উনার!
আচ্ছা আমাদের বেবিটা কার মতো হবে আদ্রর মতো নাকি আমার মতো?? উমম আমি চাই আমাদের বেবি আদ্রর মতো হোক।
আদ্র নরে উঠতে আমি চোখটা নামিয়ে নিলাম। হঠাৎই কালকের কথা মনে পড়লো উনি তো আমাকে বকেছে,তাহলে এখন জড়িয়ে রেখেছে কেনো। আমি নিজেকে ছাড়িয়ে বেড থেকে নামতে নিলে ওড়নায় টান পড়লো। পেছনে তাকাতেই আদ্র মুচকি হসে উঠে বসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
কি হচ্ছে কি ছাড়ো।
উহু ছাড়বো না আজকের মর্নিং কিসটা পাইনি আগে দেবে তারপর ছাড়বো।
পাবে না কোনো কিস। আমি রেগে আছি তোমার উপর এখনো। ছাড়ো বলছি না হলে হাতে চিমটি কাটবো।
কিস না পেলে নো ছাড়াছাড়ি। আর কি বললে রেগে আছো সারারাত তো আমার বুকে ঘুমালে তখন রাগটা কোথায় ছিলো? এই নাও চিমটি কাটো তোমার মতো একটা পিঁপড়ার চিমটিতে আমার কিছু হবে না।
ভালো হবে না কিন্তু ছাড়ো আমাকে। কাল তো মুখ ফিরিয়ে রাখলে বেবির কথা শুনে। আমার উপর রাগ দেখিয়েছো তাহলে এখন এতো ঢং কিসের হুম??
আদ্র আমার ঘাড়ে ছোট ছোট কিস করে বললো........ঢং না গো বউ একে আদর বলে। আমার আরু সোনা আমাকে এমন একটা উপহার দিচ্ছে তাকে আদর না করে থাকা যায় বলো। এখন থেকে তো ডাবল আদর পাবে আমার বউ আর বেবি দুজনেই।
তাহলে কাল ওমন করলে কেনো জানো কতো খারাপ লেগেছিলো আমার।
আমি জানি সোনা তোমার খারাপ লেগেছে। তুমি আমার কথা না শুনে এই ডিসিশন নিয়েছো তাই খুব রাগ হয়েছিলো। আ'ম সো সরি বউ।
আমি তোমাকে মারতে চাই এ কথা কেনো বলেছিলে??
আদ্র একটু চুপ থেকে বললো.......আরে ওসব কিছু না রেগে কি থেকে কি বলেছি বাদ দাও। এখন আমার বেবিটাকে একটু আদর করতে দাও তো।
আদ্র আমার পেটে হাত বুলিয়ে গালে চুমু খাচ্ছে। আমি হেসে উঠে বললাম.......তুমি বেবিকে আদর করছো নাকি আমাকে??
দুজনকেই করছি। তোমাকে একা আদর করলে তো আমাদের বেবিটা রাগ করবে বলবে ওর বাবা ওকে একটুও আদর করে না।
আদ্র তুমিও না! হয়েছে ছাড়ো এখন তোমার অফিসে যেতে হবে তো।
বলেছি না মর্নিং কিস না দিলে ছাড়বো না।
উফ এতো জ্বালাও কেনো তুমি। আদ্রর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম......হয়েছে?
না হয়নি আজ থেকে ডাবল দিতে হবে তোমার টা তো দিবাই সাথে আমাদের বেবির টাও দিতে হবে। কপালে দিলে চলবে না এখানে দিতো হবে"""ঠোঁট দেখিয়ে"""
ইসস কি আবদার পারবো না আমি।
ঠিকআছে না পারলে আজকের মতো না হয় আমিই.....
তুমি কি??
আদ্র আমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বললো.....সকালে এমন মিষ্টি খাওয়ার মজাটাই আলাদা।
আমি চোখ বড় বড় করে বললাম.......অসভ্য,দুষ্টু লোক একটা। ছাড়ো আমাকে।
আদ্র আমাকে ছেড়ে দিয়ে জোরে হেসে উঠে বললো......আরু তোমার মুখে অসভ্য কথাটি শুনতে খুবই ভালো লাগে,আমি ভাবছি তোমাকে আরো বেশি জ্বালাবো আর তুমি বেশি বেশি অসভ্য বলবে আমাকে। ভালো হবে না বলো??
ভালো না ছাই হবে। বলেই আমি ওয়াশরুমে চলে এলাম উনার সামনে থাকলে না জানি আর কতো কি শুনতে হতো।
.
.
প্রেগন্যান্সির পাঁচ মাস চলছে। এ কয় মাসে আমার দুই মা আর অথই আমাকে সব সময় আগলে রেখেছে। আব্বু বাবা ও খুব খুশি তাদের ছোট একটা নাতি/নাতনি আসবে বলে। আর আদ্রর কথা কি বলবো,আমার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে নামতে প্রবলেম হবে বলে নিচের রুমে থাকার ব্যবস্থা করেছে। কতো করে বললাম এখনি কেনো আমি তো ঠিকঠাক চলাফেরা করতে পারি। কিন্তু কে শোনে কার কথা উনার জেদের কাছে হার মেনে নিচের রুমেই থাকতে হচ্ছে।
রাতে ঘুমানোর আগে পেটের কাছে কান পেতে বাবুর সাথে কথা বলে। বাবু নাকি বলে বাবা আমাকে আদর করে দাও। উনার এমন কথা শুনে খুব হাসি পায় তখন। আদ্রর ভালোবাসা কেয়ার করা আগের থেকে আরো বেড়ে গিয়েছে।
মাঝে মাঝে বলি...বউ কি তোমার একার আছে আর বেবিও কি হয় না করো যে এতো কেয়ার করো তুমি? আদ্র বলে...বউ আমার বেবিটাও আমার সো আমি কেয়ার করবোই। অন্যদের বউ আছে বেবি, ওসব নিয়ে আমি ভাবি না।
দুপুর থেকে আদ্রকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি বারবার রিং হয়ে কেটে যাচ্ছে কিন্তু উনি একবারো ফোন ধরছে না। বাবার কাছেও ফোন দিয়ে শুনলাম আদ্র নাকি বাড়িতে আসবে বলে ১২ টার পরেই অফিস থেকে বেড়িয়েছে। এখন সাড়ে পাঁচটা বাজে তাহলে উনি এখনো কেনো এলো না? খুব চিন্তা হচ্ছে আমার। যদি কোনো কাজে থাকে ফোনটা একবার ধরে বলতে পারে বিজি আছে সেটাও করছে না।
আমার মা পাশেই বসে আছে আদ্রর মা ঠিক করে বসছে ও না একবার উঠে বাইরে যাচ্ছে তো আবার ভেতরে আসছে। ছেলের জন্য যে উনার ও চিন্তা হচ্ছে।
আমি উঠে গিয়ে বললাম..........মা তুমি চিন্তা করো না তোমার ছেলে হয়তো কোনো কাজে আটকে পড়েছে চলে আসবে।
মা একটু হাসার চেষ্টা করে বললো.........চিন্তা কি আমি একা করছি তুই করছিস না? এ সময় চিন্তামুক্ত থাকতে হবে না হলে বেবির ক্ষতি হবে। দুপুর থেকে তো কিছুই খাসনি এমন করলে কি করে সুস্থ থাকবি তুই? চল কিছু খেয়ে নিবি।
না মা আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে না।
মা উঠে এসে বললো.........আরিশা বেবির কথা তো ভাব একটু চল আমি খাইয়ে দেই তোকে।
আদ্রর মা বলে উঠলো........হ্যা অনু যা ওকে খাইয়ে দে।
বললাম তো খাবো না আদ্র আসবে তারপর খাবো।
রুমে এসে আবারো ফোন দিলাম এখনো ধরছে না। আদ্র তো কখনো এমনটা করে না কোথায় আছে উনি? আদ্র ঠিক আছে তো? নাহ আমার আদ্রর কিছু হবে না উনি ঠিক আছেন। কান্না পাচ্ছে আমার উনার কি একটি বারও মনে হচ্ছে আমরা কতোটা টেনশনে আছি। পেটে হাত রেখে বললাম.....বাবু তোর বাবা এখনো বাড়ি আসে নি ফোন ও ধরছে না। তোর বাবা এলে আমি আর তুই খুব বকে দিবো কেমন।
.
.
আব্বু আমাকে একহাতে জড়িয়ে বসে আছে......আরিশা মা এতো টেনশন নিয়ো না আদ্র চলে আসবে।
কখন আসবে আব্বু রাত হয়ে গিয়েছে। উনি ফোন কেনো ধরছে না?
আদ্রর মায়ের মুখটা একদম শুকিয়ে গেছে আরিশার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো......আদ্রর বাবা তো খোজ করছে আদ্র চলে আসবে দেখিস। ও কি তোকে ছাড়া থাকতে পারবে বল।
আমার হঠাৎ করে সাদাফ ভাইয়ার কথা মনে পড়লো হ্যা সাদাফ ভাইয়াকে একবার ফোন দিয়ে দেখি উনি জানে নাকি আদ্র কোথায়। অথইকে বললাম রুম থেকে আমার ফোন এনে দিতে অথই ফোন এনে দিতেই সাদাফ ভাইয়াকে কল দিলাম। দুইবার রিং হতেই ফোন রিসিভ হলো ওপাশ থেকে বললো......
আরে আরু কেমন আছো? হঠাৎ আমার কথা মনে পড়লো যে?
আসলে ভাইয়া আদ্র......
ওয়েট ওয়েট আরু তুমি কি কান্না করছো? কন্ঠস্বর কেমন যেনো। আদ্র কিছু বলেছে?
ভাইয়া আমি আদ্রর কথা জানতেই আপনাকে কল দিলাম। আদ্র আজ দুপুর থেকে কারো ফোন ধরছে না। ফোন রিসিভ করলে এতোটা চিন্তা হতো না। অফিস থেকে নাকি দুপুরের আগেই বেড়িয়েছে বাড়ি আসবে বলে। কিন্তু এখনো ফেরে নি। আমি ভাবলাম হয়তো আপনি জানতে পারেন উনি কোথায় তাই কল দিলাম।
কি বলছো আদ্র ফোন ধরছে না! ওর সাথে তো গতকাল কথা হয়েছিলো আমার আর তো কথা হয়নি। তুমি টেনশন করো না আমি দেখছি খোজ করে।
আচ্ছা রাখছি ভাইয়া।
চোখ ফেটে কান্না আসছে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। চোখ বন্ধ করে মায়ের কাধে মাথা রেখে বসে আছি। আদ্রর মা কিছু খাবার এনে আমার পাশে বসে বললো.......
আরিশা এভাবে না খেয়ে থাকলে তো বেবির ক্ষতি হবে একটু কিছু মুখে দে।
মা সত্যি আমার খেতে ইচ্ছে করছে না নিয়ে যাও এগুলো।
তোকে খেতে হবে এই সুপটুকু খেয়ে নে।
মা আমাকে জোর করে খেতে বাধ্য করলো। আমি উনার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছি উনি এতো ভালো কেনো! ছেলেকে নিয়ে টেনশন হচ্ছে তারপরেও নিজেকে শক্ত রেখে আমার খেয়াল রাখছে। সব মায়েরা তার সন্তান এর ভালে চায়। বিয়ের আগেও আমাকে নিজের মেয়ের থেকে আলাদা করে দেখেনি এখন যে উনার ছেলের বউ আমি সেটাও কখনো বুঝতে দেয় না। আমার মা আমাকে যতোটা কেয়ার করে আদ্রর মা ঠিক ততোটাই কেয়ার করে। আমি সত্যি খুব লাকি এমন একজন শাশুড়ি মাকে পেয়ে।
.
.
সকলে গম্ভীর ভাবে ড্রয়িংরুমে বসে আছি। রাত সাড়ে দশটা বাজে প্রায়। হঠাৎ আব্বুর ফোন বেজে উঠলো। আব্বু ফোন রিসিভ করে বললো......হ্যা ভাইজান বলো আদ্রর কোনো খোজ পেয়েছো।
.............
যাক আলহামদুলিল্লাহ। ঠিকআছে তোমারা সাবধানে এসো।
আব্বু ফোন রেখে হাসি মুখে বললো........আদ্র ঠিকআছে ভাইজান ওর সাথেই আছে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে।
আমার গাল বেয়ে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে আদ্র ঠিকআছে শুনে বুকের ভেতরটা শীতল হয়ে এসেছে। মনে হচ্ছে বুক থেকে ভারী কিছু নেমেছে।
আমার ফোন বেজে উঠলো সাদাফ ভাইয়া কল দিয়েছে রিসিভ করলাম.......
হ্যালো...
আরু আদ্রর সাথে আমার মাত্র কথা হলো ও নাকি বিজি ছিলো তাই কারো ফোন ধরতে পারেনি। তুমি টেনশন করো না ও বাড়িতে যাচ্ছে।
হ্যা,ভাইয়া বাবা আছেন উনার সাথে বাবাও একটু আগে জানিয়েছে।
ওহ তাহলে তো জানোই। আরু এ সময় এতো টেনশন কান্নাকাটি করো না কেমন। আদ্রকে একবার সামনে পাই ওকে খুব করে বকে দেবো আমার মিষ্টি বোনটাকে এতো টেনশন দেওয়ার জন্য। নিজের খেয়াল রেখো,রাখছি।
সাদাফ ভাইয়া ফোন কেটে দিতে আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে ভাবছি.....সাদাফ ভাইয়া,সত্যি খুব ভালো একটা ছেলে আমাকে ছোট বোনের মতো স্নেহ করে।
কলিংবেল বাজতে আরিশার আব্বু গিয়ে দরজা খুলে দিলো। আদ্রর বাবা আর আদ্র এসেছে। আদ্রর মা দৌড়ে গিয়ে আদ্রকে জড়িয়ে কাঁদছে।
আদ্রর মুখটা কেমন শুকনো দেখাচ্ছে, গায়ে থাকা সাদা শার্টে জায়গায়,জায়গায় ময়লা লেগে আছে।আরিশা একদৃষ্টিতে আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছে মনে মনে বলছে.... কোথায় গিয়েছিলো উনি এই অবস্থা কেনো উনার?
আদ্র ওর মাকে বললো.......মা কাঁদছো কেনো দেখো আমি ঠিকআছি। একটা প্রবলেম হয়েছিলো তাই তোমাদের ফোন ধরতে পারি নি বিজি ছিলাম।
কি প্রবলেম হয়েছিলো??
আদ্রর বাবা এগিয়ে এসে আদ্রর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো......আমি পরে বলবো ওকে রুমে যেতে দাও।তোমরা গিয়ে খাবার রেডি করো সারাদিন তো কেউ খায়নি। আদ্র ফ্রেস হয়ে এসে আগে খেয়ে নে।
আদ্র এদিক ওদিকে তাকিয়ে আরিশাকে দেখছে না অথই বুঝতে পেরে আদ্রর পাশে এসে বললো.......ভাইয়া ভাবি রুমে গিয়েছে।
আরিশার আদ্রকে দেখার পরে আরো কাঁন্না পাচ্ছে তাই ওখানে না থেকে রুমে এসে জানালার ধারে দাড়িয়ে নীরবে কাদছে।
আদ্র রুমে এসে দেখলো আরিশা অন্য দিকে ঘুরে দাড়িয়ে আছে। আদ্র বেশ বুঝতে পারছে তার আরু কাঁদছে।
আদ্র আরুর কাধে হাত দিয়ে নরম স্বরে বললো.......আরু সোনা কাঁদছো কেনো আমি চলে এসেছি তো।
আরিশা কিছু না বলে ঘুরে আদ্রকে জড়িয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। আদ্র ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বললো.......কেঁদো না সোনা বেবির প্রবলেম হবে তো। শান্ত হও। বাবা বললো দুপুর থেকে নাকি কিছুই খাও নি তুমি বোঝোনা না খেয়ে থাকলে তোমার বেবির দুজনেই প্রবলেম হবে।
তোমার জন্য খুব চিন্তা হচ্ছিলো খাবার গলা দিয়ে নামতো নাকি। সন্ধার পর মা জোর করে একটু সুপ খাইয়ে দিয়েছিলো। কোথায় ছিলে তুমি ফোন ধরো নি কেনো? তোমার কি একবারো মনে হয় নি আমার কথা?
মনে হয়েছে সোনা কিন্তু আমি তখন কথা বলার পরিস্থিতিতে ছিলাম না। বিজি ছিলাম অনেক।
কি এমন কাজে বিজি ছিলে তুমি আর তোমার শার্টে এই ময়লার দাগ কেনো??
হসপিটালে ছিলাম একটা বৃদ্ধার এক্সিডেন্ট হয়েছিলো আমার গাড়িতে।
এক্সিডেন্ট! তোমার গাড়িতে! তুমি তো অসাবধান হয়ে কখনো ড্রাইভ করো না। বৃদ্ধার তেমন কোনো ক্ষতি হয়েছে কি??
হুম ক্ষতি তো হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে আর ওই হসপিটালে উনার ব্লাড গ্রুপের রক্ত ছিলো না আমার টাও ম্যাচ করে নি। চিন্তায় ছিলাম আমার কারনে বৃদ্ধাটির কিছু হয়ে না যায়। অনেক খুজে রক্ত যোগার করে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম।এখন উনি সুস্থ আছেন। আমার কারনে উনার আজ এমন হয়েছে তাই ওখানেই ছিলাম সেন্স আসার পর হসপিটাল থেকে বেড়িয়েছি।
কিন্তু এক্সিডেন্টটা হলো কি করে? আদ্র আমি প্রায়ই খেয়াল করি তুমি মাঝে মধ্যেই অন্যমনস্ক হয়ে কি যেনো ভাবো। কি ভাবো বলোতো,গাড়ি চালানোর সময়ও নিশ্চই তুমি কিছু ভাবছিলে তাইনা?
আরে কি ভাববো তেমন কিছু নয়,আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
আদ্র দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো,আরু সেদিকে তাকিয়ে বললো......আদ্রর মনে কিছু একটা আছে যা আমাকে বলতে চাচ্ছে না,যখন অন্যমনস্ক হয়ে থাকে তখন উনাকে বিষন্ন লাগে দেখতে। কিন্তু কি সেটা কি নিয়ে ভাবে??
No comments